যৌনরোগ থেকে বাঁচতেই বিয়ের উদ্ভব

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০১৬, ০৫:০৮ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক

মার্কিন গায়ক, অভিনেতা এবং পরিচালক ফ্রান্সিস সিনাত্রার নাম বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে অতটা পরিচিত নয়। বিংশ শতাব্দীর চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ফ্রান্সিস সিনাত্রা এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। সেই সিনাত্রাই একবার এক গানে বললেন, ‘ভালোবাসা এবং বিয়ে ঘোড়া এবং গাড়ির মতো একত্রে চলে।’ ১৯৯৮ সালে সিনাত্রা মারা গিয়ে অনেকটাই বেঁচে গিয়েছেন, নয়তো তার এই বক্তব্যের জন্য গবেষকদের মুখোমুখিও হয়তো তাকে দাড়াতে হতো। কারণ সম্প্রতি একদল গবেষক বলছেন যে, যৌনরোগ থেকে মুক্তির জন্যই মানুষ বিয়ে ব্যবস্থার প্রচলন করেছিল, অর্থাৎ বিয়ের পেছনে ভালোবাসা বা প্রেম কোনো কারণ ছিল না।

ন্যাচার কমিউনিকেশনস নামক একটি জার্নালে এবিষয়ক একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, মানুষ স্বভাবতই বহুগামী, কিন্তু বিয়ে ব্যবস্থার উৎপত্তির কারণ খুব একটা রোমান্টিক নয়। উল্টো যৌনরোগের হাত থেকে বাঁচার জন্যই বিয়ে ব্যবস্থার উৎপত্তি। গবেষকরা গাণিতিক পদ্ধতি এবং বিভিন্ন সমাজের মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করে আদিম মানবসমাজের চারিত্রিক বিবর্তন বোঝার চেষ্টা করেন।

কৃষিভিত্তিক সমাজের বাড়বাড়ন্ত এবং সম্প্রদায়গুলোর লোকবল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদস্যদের মধ্যে বহুগামিতার কারণে বিভিন্ন রোগের দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করছেন গবেষকরা। বর্তমান সময়ের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ না থাকলে সিফিলিস এবং গনোরিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব হতো বলেও তারা মনে করছেন। আর এই কারণেই তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার মানুষেরা যৌন আচরণে পরিবর্তন আনার চিন্তা করেছিলেন।

কানাডার ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটির গনিত বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ক্রিস বাখের মতে, ‘এই গবেষণা দেখাচ্ছে যে কিভাবে কিছু রোগ একটি সমাজের সামাজিক নিয়ম পাল্টে দিতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে যা ঘটছে তার উপর নির্ভর করে আমাদের সামাজিক নিয়ম এখনও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। অন্যদিকে বলতে গেলে আমরা প্রকৃতির সঙ্গে বোঝাপরা না করে সামাজিক নিয়মও বুঝতে পারবো না। আমাদের প্রকৃতির উপর নির্ভর করেই সামাজিক নিয়ত গঠিত হয়। পাশাপাশি সামাজিক নিয়মের উপর নির্ভর করেও প্রকৃতির পরিবর্তন হয়ে থাকে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন