ঢাকা: বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অফিসে যারা চাকরি করেন নিয়মানুযায়ী তাদের সবাই নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবের আগে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বোনাস বা উৎসব ভাতা পাওয়ার যোগ্য।
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কিংবা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী বেতন ভাতা ও বোনাস নির্ধারিত হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে শিল্প-কারখানা এমনকি গণমাধ্যমে শ্রম আইনের আওতায় তৈরি করা বিধিমালা অনুযায়ী কর্মীদের বোনাস দেয়ার বিধান রয়েছে। যদিও কিছু শিল্প কারখানায় বিশেষ করে ঈদের আগে বেতন ও বোনাসের দাবিতে নানা প্রতিবাদের ঘটনাও দেখা যায়।
সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জায়েদী হাসান খান বলেন, কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে প্রদেয় বিধি দ্বারা উৎসব ভাতা পাওয়ার অধিকার আছে।
তবে সব ক্ষেত্রেই কোনো প্রতিষ্ঠানে যারা ন্যূনতম এক বছর ধরে কাজ করছেন তারাই এ সুবিধা পাবেন। ধর্মীয় উৎসবে বোনাস দেয়ার বিধান শ্রম আইন ও এর ভিত্তিতে প্রণীত শ্রম বিধিমালায় উল্লেখ করা আছে। তিনি বলেন, কেউ বোনাস বা উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হলে তিনি শ্রম আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন।
আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, ‘বেতনের মতো বোনাস পাওয়াটাও শ্রমিকের অধিকার। সরকারি বা সরকারি বিধিবদ্ধ দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতই বোনাস দেয়া হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বহু শিল্প কারখানাও নিয়মিত বোনাস দেয় কর্মীদের। কারণ এটি তাদের প্রাপ্য।
তিনি বলেন, এখন নিয়োগ দেয়ার সময়ই অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়োগপত্রে উল্লেখ করে যে কর্মী কী কী সুবিধা পাবেন এবং সেখানে বছরে দুটি উৎসব ভাতার কথা স্পষ্ট করেই উল্লেখ করে দেয়া থাকে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বোনাস পাওয়া নিয়ে সমস্যা না হলেও বেসরকারি খাতের প্রায় যথাসময়ে বোনাস না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়
কে কতটুকু বোনাস পাবেন?
বোনাস বা ভাতা হল কোনো কর্মীর জন্য তার নিয়মিত মজুরির অতিরিক্ত বাড়তি পাওনা। কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো উপলক্ষ বা উৎসব পালন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন (যেমন- উৎপাদন), সময়ানুগ উপস্থিতি, নিষ্ঠার সঙ্গে কর্ম সম্পাদন প্রভৃতির জন্য বোনাস দিতে পারে।
জায়েদী হাসান খান বলছেন, সরকারি চাকরি বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে সাধারণত চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাদের সর্বশেষ মূল বেতনের সমান অর্থ বোনাস হিসেবে দেয়া হয়। বিবিসি বাংলা
সোনালীনিউজ/এইচএন