যা বললেন বিতর্কিত সেই উপস্থাপক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২১, ০৪:০৪ পিএম

ঢাকা: রাষ্ট্রধর্ম ও ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া নিয়ে বক্তব্য দিয়ে প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। সর্বশেষ একটি অডিও ফাঁসের ঘটনা ডা. মুরাদকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। 

এদিকে গত ১ ডিসেম্বর নাহিদরেইন্স (নাহিদ হেলাল) নামে এক ইউটিউবারের লাইভে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর থেকেই সে ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয় তাকে নিয়ে।

সেই বির্তকিত লাইভের উপস্থাপক নাহিদরেইন্সকে নিয়েও চলছে তুমুল সমালোচনা। নেটিজেনদের এক অংশের ধারণা সেই উপস্থাপকই ডা. মুরাদকে উত্তেজিত করে জাইমা রহমানকে নিয়ে ওইসব বিতর্কিত মন্তব্য করান।

এ ঘটনায় মুখ খুলেছেন নাহিদরেইন্স।নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন তিনি।

ডা. মুরাদ হাসানের সেই লাইভের উপস্থাপক নাহিদরেইন্স বলেন, ‘আমার লাইভ সেশনে উনি (ডা. মুরাদ হাসান) কিছু উক্তি করেছেন। যেগুলো ব্যাসিকালি উনার নিজস্ব মতামত। এবং আমি সত্যিই মনে করি এগুলো খুবই লজ্জাজনক ছিল, খুবই অপমানজনক ছিল, বিশেষ করে আমাদের নারী সামাজের জন্য। যা ছিল খুবই খারাপ এবং আমি তা সমর্থন করি না।’

নাহিদরেইন্সের ভাষ্য, ‘সেই লাইভে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বিএনপির পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে আপনার কোনো কমেন্ট আছে কি না। তার উত্তরে উনি হঠাৎ করে জাফরউল্লাহ সাহেবকে নিয়ে উনার ভাষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন। এরপর জাইমাকে নিয়ে তিনি অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। যা ছিল খুবই খারাপ। যা আমি কখনো সমর্থন করি না। আমি তা আশাও করিনি।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমি জানতাম তার ওই স্টেমেন্টের কারণে বড় একটা ইস্যু তৈরি হবে। কিন্তু আমি তার সেই ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেইনি। কারণ উনি যদি খারাপ কিছু বলে থাকেন তার রেসপনসিবিলিটি তাকেই নিতে হবে। তবে সবার রিয়ালাইজেশন দেখে আমার মনে হচ্ছে এ নিয়ে উনাকে একটা সরিও বলতে হবে। এবং উনার একটা সরি বলা উচিত।’

বিতর্কিত সেই লাইভের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে দিয়ে সরি বলানোর জন্য আরেকটি লাইভের আয়োজন করেন জানিয়ে ওই উপস্থাপক বলেন, ‘ওই লাইভের পর সরি বলানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিয়ে লাইভের আয়োজন করি। এরপর গতকাল (৫ ডিসেম্বর) রাতে উনাকে আবারও লাইভে আনা হয়। তার আগে আধাঘণ্টা তাকে বোঝানো হয়। তারপরও উনি সরি বলেননি। এক পর্যায়ে লাইভের মধ্যে আমি নিজেই সরি বলি। এরপররের লাইভটিও ভালো ছিল না। ফলে আমি সেটি ডিলিট করে দিয়েছি। এ বিষয়টায় আমি খুশি হতে পারিনি।’

নাহিদরেইন্স বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি উনি ভালো কিছু বলুক। কিন্তু আমি তাতে ফেল করেছি।  এই ধরনের অনলাইন শোতে এমন কেউ থাকলে তাদের কন্ট্রোল করা খুবই কঠিন। এমন মন্ত্রীকে চাইলেই কথার মধ্যে থামানো যায় না। এবং আমি সেটা করতে পারিনি। কিন্তু শিষ্ঠাচার সব জায়গায় থাকতে হবে। আমি ব্যর্থ হয়েছি। উনি প্রমিজ করেছিলেন সরি বলবেন। কিন্তু বলেননি।’

সোনালীনিউজ/আইএ