সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে চাই

  • ফেসবুক থেকে ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৭, ০৭:৫০ পিএম

ঢাকা: তিনি বাঙালির কাছে শুধু একজন ক্রিকেটারই নন, নন শুধু একজন দলনেতাও। কোটি মানুষের প্রেরণার নাম, অন্ধকারে আলোর পথ দেখানো এক দিশারীর নামই মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আমূল বদলে দেবার কারিগর!! বর্তমান খেলছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। এর মধ্যেই এসে গেল বাঙালির প্রাণের উৎসব- বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ।

সপরিবারে ছুটি কাটানোর সুযোগটা ছাড়লেন না। দুদিনের জন্য বেড়াতে গেলেন রাঙামাটির সাজেকে। সেখানকার সেনা ক্যাম্প ঘুরে দেখলেন। কথা বললেন সেনাদের সঙ্গে। তাদের কঠিন সংগ্রামী আর আত্মত্যাগের গল্প শুনলেন। শুধু তাই নয়, ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে বিষয়ে লিখলেনও। আবেগে আপ্লুত হয়ে কী লিখলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক?

মাশরাফি লিখেছেন, প্রথমে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনাদের সবাইকে যারা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সেবা করে যাচ্ছেন। আমার এবারের খাগড়াছড়ি সেনানিবাস ভ্রমণ থেকে আমি বুঝতে পেরেছি, একজন সৈনিক তাঁর মাতৃভূমির জন্য কী পরিমাণ আত্মত্যাগ করেন। আপনারা হলেন সেই সব মানুষ যারা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে। কিন্তু আপনাদের বীরত্বগাথা হয়ত কখনো কোনো জাতীয় দৈনিক বা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। আমার সাথে এমন একজন সৈনিকের দেখা হয়েছে যিনি খুব শিগগিরই বাবা হবেন। অথচ দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি আজ তাঁর পরিবার থেকে বহুদূরের এই সেনাক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

আমি স্বীকার করি অনেকের কাছেই সেপাই পলাশ-এর দেশের প্রতি অঙ্গীকার একটি সামান্য পরিসংখ্যান ছাড়া আর কিছুই নয়। নিজের কাজ দিয়ে জাতীয় সংগীতকে সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা কিংবা গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দেয়াকেই আমরা হয়ত দেশাত্মবোধের পরিচায়ক হিসেবে মনে করি। কিন্তু মনে রাখবেন, এর কোনোকিছুই আপনাদের আত্মত্যাগের সমতূল্য নয়।

আজ বাংলাদেশ আর্মির এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রত্যেক সদস্য দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত আছেন। আমার এই ভেবে খুব কষ্ট হয় যে আপনারা এবং আপনাদের আপনজনেরা অত্যন্ত কষ্ট সহ্য করেন যেন আমরা নিরাপদে ঘুম থেকে উঠতে পারি। যেদিন আমাদের দেশের সকল নাগরিক একইভাবে দেশের জন্য আত্মনিয়োগ করতে প্রস্তুত হবে সেদিন আমরা পাবো সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।

মনে রাখবেন, “সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে”। সর্বশেষ এই বলতে চাই, “ যদি কখনো বাংলাদেশ আর্মির সাথে একদিনও কাজ করার সু্যোগ পাই, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।” এত সময় ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের কে অশেষ ধন্যবাদ। - আপনাদের মাশরাফি (একজন ব্যক্তি যে শুধুমাত্র ক্রিকেট খেলে)।

সোনালীনিউজ/এন