ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা একমাসের ছুটিতে গেছেন। ইতোমধ্যেই মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টা থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এসকে সিনহার এ রকম ছুটিতে যাওয়াকে অনেকেই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতির এক মাসের ছুটি নেয়া অস্বাভাবিক। এটা ভালো কোনো ইঙ্গিত বহন করছে না। ’
ঠিক তেমনিভাবে প্রধান বিচারপতির এমন অস্বাভাবিক ছুটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৮টায় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ওই আশঙ্কার কথা বলে সাংবাদিকদের এর অনুসন্ধ্যান করার পরামর্শ দেন।
তিনি লেখেন, ‘প্রধান বিচারপতি কি গৃহবন্দী? অবশ্যই সাংবাদিকদের বিষয়টি অনুসন্ধান করা উচিত।’ তার ওই স্যাটাসের পর মাত্র দুই ঘণ্টায় বেশ শেয়ার ও কমেন্ট হয়েছে।
তবে এসকে সিনহা কোনো চাপে নয়, ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা সম্বলিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আওয়ামী লীগের তোপের মুখে পড়েন।
এ সময় হঠাৎ ৮ সেপ্টেম্বর রাতে অসুস্থ মেয়েকে দেখতে তিনি লন্ডনে যান এস কে সিনহা। ২৩ সেপ্টেম্বর দেশে সফর শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা জানায় অইন মন্ত্রণালয়। এ সময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঠিক তেমিন আকস্মিকভাবে সোমবার (২ অক্টোবর) তার এক মাসের ছুটির আবেদনের কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি শপথ নেন এস কে সিনহা। এ বছরের ডিসেম্বরে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই