নবান্ন উৎসবে পেঁয়াজের ঝাঁজ

  • ফেসবুক থেকে ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৭, ১০:৪৪ এএম

ঢাকা: হেমন্তের এ শেষ অর্ধাংশে বাঙালির ধান কাটার উৎসব শুরু। কৃষক এ সময় মূলত আমন ধান কেটে ঘরে তোলেন।

আর একে কেন্দ্র করে উদযাপিত হয় শস্যভিত্তিক লোকউৎসব নবান্ন। গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা ‘নবান্ন উৎসব’-এ মেতে উঠে রাজধানীবাসীও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় গতকাল (বুধবার) সকালে শুরু হয় এ উৎসবের। ১৯তম জাতীয় এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করছে জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ।

উৎসবে পিঠার আয়োজন করা হলেও এসব পিঠার দাম আকাশচুম্বি। উৎসবের দিনে পিঠার দাম এমন আকাশচুম্বি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ পিঠা উৎসবে অংশ নিয়ে সরেজমিনে এসব দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সময় টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুজতবা দানিশ

বুধবার (১৫ নভেম্বর) তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন-

“নবান্ন উৎসবে পেঁয়াজের ঝাঁজ। পহেলা অগ্রহায়ণ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের পিঠা উৎসব। যান্ত্রিক রাজধানীবাসীকে এটা মনে করিয়ে দেয়া হয় চারুকলার বকুল তলায়। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নবান্ন উদযাপন পরিষদ এর আয়োজন করছে। উদ্যোগটা অসাধারণ হলেও মানুষের তেমন অংশগ্রহণ না থাকায় এর কোন প্রভাব পড়ছেনা।

উৎসবে পিঠার আয়োজন করা হলেও দাম আকাশচুম্বি। ৩০ টাকার নিচে কোন পিঠা নাই। এটা কোন শ্রেণির মানুষের জন্য। ঢাকার বেইলি রোডে একটি দোকান মোটামুটি সারা বছর ধরে পিঠা বিক্রি করে। তাদের দামও সহনীয়। উৎসবে দাম এতো বেশি কেন জানতে চাইলে দোকানদার জানালেন ১০ হাজার টাকা দিয়ে একদিনের জন্য ভাড়া নিতে হয়েছে।

দামতো বেশি হবেই। কেন এতো টাকা দিতে হবে একটা দোকানের জন্য। আয়োজকরা নবান্ন উৎসব বলবেন, কিন্তু পিঠা কিনতে পারবেনা কেউই। শুধু মিডিয়া কভারেজের জন্যই এই আয়োজন! তাহলে এটা বকুলতলায় না করে তিন তারকা হোটেলে করলেইতো হয়।”


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন