ধিক্কার জানাই এই সকল নরপশুদের

  • ফেসবুক থেকে ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০১৮, ০১:৩৯ পিএম
মোহাম্মদ এ. আরাফাতের ফেসবুক থেকে নেয়া ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে হত্যা, ধর্ষণ, দুর্নীতি আর দলীয় কোন্দল নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতা কর্মীদের মধ্যেই এর উপস্থিতি চরমভাবে লক্ষণীয়। সম্প্রতি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এসব আচরণ চরম বিব্রতকর অবস্থানে ফেলে দলকে, এমনটাই লক্ষ্য করা গেছে দলটির নেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কথায়। 

শরীয়তপুরে ৬ নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদারকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়ে সংগঠনটি। এরপর তাকে দল থেকে বাহিষ্কার করা এবং গ্রেপ্তার করায় সরকারের প্রশংসা করেছেন দলটি শুভাকাঙ্ক্ষী, বাংলাদেশের অন্যতম সামাজিক উন্নয়ন গবেষনামূলক সংগঠন সুচিন্তা’র প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী, মডেল শমী কায়সারের স্বামী মোহাম্মদ এ. আরাফাত (২৮ ডিসেম্বর) তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

“ষোল কোটি মানুষের এ দেশে বেশ কিছু মানুষরূপী পশু তাদের কুকর্মের মাধ্যমে দেশের স্বাভাবিক গতিপথে বাঁধা সৃষ্টি করে। এমন ব্যক্তির উপস্থিতি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সাথে সাথে মানবতাকে করে বিপন্ন। ধিক্কার জানাই এই সকল নরপশুদের।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন, এর অঙ্গ সংগঠনের কর্মীর সংখ্যা অনেক। বিভিন্ন সময়ে কিছু অমানুষ আহ্নিক গতিতে জড়িয়ে পড়ে এই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রক্রিয়ায়। যারা তাদের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজকে যেমন কলুষিত করে ঠিক তেমনি দলের ঐতিহ্য ও সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সাধারণ জন মানুষের মাঝে।

কিন্তু দেশের উন্নয়নের দৃঢ় সংকল্পে যারা উদ্দীপ্ত তারা কখনোই এ রকম কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেয় না। দলীয় নিয়মতান্ত্রিকতা ও বাংলাদেশের আইন আদালতের স্বাধীন সুনিপুণ বিচার কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের আস্থা অগাধ। আর তাই মানবিকতা, দলীয় আদর্শের বাইয়ে গিয়ে কেউ অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠন কোনভাবেই কাউকে ছাড় দেয় না।

শরীয়তপুরের নারীর শ্লীলতাহানির (৬ নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ে) মামলায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদার আটক হয়েছে। ঘটনা প্রকাশের পর ১৯ অক্টোবর তাকে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার এবং ১১ নভেম্বর তার নামে একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। আদালত তার সঠিক নিয়মেই দোষী ব্যাক্তি বিচার করবে এবং তার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক এটাই কামনা।

বিএনপি-জামায়াত এর সাথে আওয়ামী লীগের আদর্শ ও কার্যক্রমের যে বিস্তর ফারাক তা এ ঘটনা থেকেই বোঝা যায়। দোষী যেই হোক না কেন কেউ ছাড় পাবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাসী।”

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই