মিশা-পূর্ণিমার ‘ধর্ষণ’ প্রসঙ্গ এখন কেন আলোচনায়

  • ফেসবুক থেকে ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০১৮, ০৮:৩২ পিএম

ঢাকা: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললে একটি বিষয় বেশ চোখে পড়ছে, তাহলো বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক মিশা সওদাগর ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমার ধর্ষণের বিষয়টি। আসলে মিশা যে পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করেছেন এমনটি নয়। সিনেমার ভয়ঙ্কর পুরুষ বাস্তবে একজন ভদ্র মানুষ। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘এবং পূর্ণিমা’ নামের একটি সেলিব্রিটি শো’তে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।

আর সেখানেই উঠে আসে মিশা সওদাগরের অভিনয় ও ব্যক্তি জীবনের নানা প্রসঙ্গ। অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা মিশাকে প্রশ্ন করেন ‘কার সাথে ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন আপনি? 

উত্তরে মিশা সওদাগর জানান, ‘মৌসুমী ও পূর্ণিমার সাথে’ উপস্থাপিকা পূর্ণিমা হা হা হা করে হেসে ওঠেন। কিন্তু এই প্রশ্নটি নিয়েই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। 

পরে অবশ্য পূর্ণিমা বলছেন, প্রশ্নের পীঠে এমন প্রশ্নটি মূলত মজা করেই করা হয়েছে। কিন্তু ফেসবুকবাসী তো এটি মানতে নারাজ। তারা সমালোচনায় নেমেছেন আমাকে নিয়ে। 

ধর্ষণ কি একটা মজার ব্যাপার? এমন একটি বিষয় নিয়ে কীভাবে সেলিব্রেটিরা ফান করে? এইসব অনুষ্ঠান কিভাবে প্রচার হয়? যারা এসব অনুষ্ঠান প্রচার করছে করেছেন নিন্দা জানাই তাদের প্রতি। হয়তো ধর্ষণের মতো এই ফানের পক্ষেও ১০১টা যুক্তি দেয়া হবে। RIP সেলিব্রিটি শো। এমন অনেক পোষ্ট এখন স্যোশাল মিডিয়ায়।

তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পূর্ণিমার প্রতিও। তিনি একজন সেলিব্রেটি হয়ে কীভাবে এই প্রশ্ন করেন? যতই কেউ তার হাতে স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দিক। বিপরীতে মিশা সওদাগরও কিভাবে এর উত্তর দেয়। কেন তিনি এর যোগ্য উত্তর দিলেন না?

অনেকের প্রশ্ন আমাদের সেলিব্রেটি শো গুলোতে হচ্ছেটা কী? প্রশ্নের ভিন্নতার জন্য এখন যা-তা হচ্ছে। এটা এক ধরনের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে বর্তমান সময়ে। এর আগে জয় হুমায়ূন আহমেদ পত্নী মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় অনুষ্ঠানে। মৌসুমীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। 

মামুন নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, মানছি, আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায় দেশের কোথাও কোথাও এমন ঘটনা শোনা যায়। যাদের শাস্তির দাবিতে মানুষ রাস্তায় আন্দোলনে নামে, বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে ‘মানুষরূপী পশুর’ বিচারের জন্য। সেখানে প্রকাশ্যে একজন নারী হয়ে কীভাবে এমন শব্দটি উচ্চারণ করতে পারলেন আমাদেরই একজন প্রিয় অভিনেত্রী, তা আমার বোধগম্য নয়।

মাহিন নামের আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, পৃথিবী জুড়ে চলচ্চিত্র তারকারা যখন সকল অনৈতিক আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন আমাদের তারকারা চলচ্চিত্র শেষে কুসংস্কারে ডুবে যায়। তেমনি কখন কি বলতে হবে এই রুচিশীলতাটাও নেই ওদের! অদ্ভুত?

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই