উৎসব ভাতা দেওয়ার ব্যাখ্যা

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২২, ১০:৩৯ পিএম

ঢাকা: শর্ত ভেঙে রেজিস্ট্রারকে ঈদের উৎসব ভাতা হিসেবে প্রায় দেড় লাখ টাকা দেওয়ায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্যের কাছে জবাব চেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ সংশ্নিষ্ট সব দলিলাদির সত্যায়িত কপি কমিশন বরাবর সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে বেরোবি ভিসিকে।

গত ৩ জুলাই ইউজিসির হিসাব পরিচালক স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপি সোমবার এসে পৌঁছেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই চিঠির জবাব এখনও ইউজিসিকে দেওয়া হয়নি। ইউজিসির অর্থ পরিচালক শাহ আলম সমকালকে এ খবর নিশ্চিত করেন।

গত ২৯ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে বকেয়াসহ ঈদের উৎসব ভাতা হিসেবে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরীকে দেয় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুধু ঈদুল আজহা নয়, ঈদুল ফিতরেরও উৎসব ভাতা বকেয়া পেয়েছেন তিনি। বিধি অনুযায়ী, কোনো চাকরিজীবীকে বকেয়া ভাতা দেওয়ার সুযোগ নেই। জনতা ব্যাংকের রংপুরের লালবাজার শাখায় পাঠানো উৎসব ভাতার চালান (ইনভয়েস) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ স্বাক্ষরিত রেজিস্ট্রারের নিয়োগপত্রে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর গ্রেড-৩ অনুযায়ী মূল বেতন, বাড়ি ভাড়াসহ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে মাসিক বেতন সর্বসাকল্যে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬০ টাকা ধরা হয়। এর বাইরে অন্য কোনো ভাতা তিনি পাবেন না বলে উল্লেখ করা হয়। নিয়োগপত্র অনুযায়ী চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন আলমগীর চৌধুরী। সূত্র:সমকাল

সোনালীনিউজ/এমটিআই