সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু, সব গ্রেডে হবে সমন্বয়

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম

ঢাকা: সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী শুরুতে বেতন বৃদ্ধির বিদ্যমান হার পরিবর্তন করা হবে। এরপর ১ থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত সমান হারে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব আসতে পারে। এতে সব গ্রেডের বেতন সমন্বয় হবে।

আসছে বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৬.৫ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল সরকারি হিসাবে ৯.২৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ বাড়লে বাড়তি খরচ হতে পারে চার হাজার কোটি টাকা। ২০১৫ সালে যখন সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়, তখন মূল্যস্ফীতি ৩ থেকে ৫ শতাংশ ধরে পরবর্তী বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ঠিক করা হয়।

তবে এখন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করতে ভারতসহ কয়েকটি দেশের বেতনকাঠামো পর্যালোচনা করছে অর্থ বিভাগ।

একই সঙ্গে বিভিন্ন গ্রেডের বেতনবৈষম্য সহনীয় করার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। এসব কাজ শেষ করে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

তবে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগে বেতন বৃদ্ধির সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। কারণ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করতে বেতন-ভাতাদি আদেশসহ আরো কিছু বিধি সংশোধন করতে হবে। এ জন্য অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হতে পারে।

বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এসংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে নতুন বেতন বৃদ্ধির হার সমন্বয় করতে হবে। কারণ প্রতিবছর কর্মচারীদের যে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হয়, সেখানে কারো ৩.৭৫ শতাংশ, কারো ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১০ শতাংশ মূল বেতন বৃদ্ধি হলে চার হাজার কোটি, ১৫ শতাংশে ছয় হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশে আট হাজার কোটি টাকা বাড়তি প্রয়োজন হবে। তবে বেতন বৃদ্ধির হার কত হতে পারে, তা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।

আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৬.৫ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে এ হারই হতে পারে বেতন বৃদ্ধির একটি ভিত্তি। আবার বাজেট ঘোষণার পর জুন বা জুলাই শেষে মূল্যস্ফীতির হার কত থাকে, সেটাও হতে পারে আরেকটি ভিত্তি। উভয় বিকল্প হাতে নিয়েই এগোচ্ছে অর্থ বিভাগ। তবে যখনই প্রজ্ঞাপন জারি হোক না কেন, তা কার্যকর করা হবে পেছনের তারিখ বা অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকে।

সোনালীনিউজ/আইএ