চিকিৎসকদের আক্রান্তের খবরে বাড়ছে ভয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২১, ০৯:৪৯ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।টানা দুই সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু এবং সংক্রমণ ছাড়িয়ে যাচ্ছে পূর্বের সকল রেকর্ড। রোগী সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে মহামারি করোনার বিরুদ্ধে মানুষের এই লড়াইয়ে যারা সম্মুখযোদ্ধা সেই চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরাও এবার আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন। 

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য মতে, করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত (১০ এপ্রিল) দুই হাজার ৯০৮ জন চিকিৎসক, এক হাজার ৯৯৬ জন নার্স এবং তিন হাজার ২৯৩ জন অন্যান্য স্টাফসহ মোট আট হাজার ১৯৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জন চিকিৎসক এবং তিনজন ডেন্টাল সার্জনের।এরমধ্যে গত তিনদিনে ছয় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসকদের মৃত্যুর তালিকায় যোগ হওয়া সর্বশেষ নামটি হচ্ছে ডা. গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শনিবার (১০ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা সাহানা বানু সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে সংক্রমণের হার পূর্বের তুলনায় এখন অনেক বেশি। কারণ হলো, কোভিড ইউনিটে ডিউটি শেষে স্বাভাবিকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম থাকলেও আমাদের চিকিৎসক-নার্সদের এক সপ্তাহ বাসায় থাকার পর আবারও ডিউটিতে যেতে হচ্ছে। কারণ তাদের জায়গায় কাজ করার মতো পর্যাপ্ত জনবল নেই। কারণ স্বাস্থ্যকর্মীরা এতই আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন, তাদের স্থলে ডিউটি করার জন্য আমরা কাউকে পাচ্ছি না। বাধ্য হয়েই স্বাভাবিক কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার আগেই অন্যদের ডাকতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আমাদের চিকিৎসকদের জন্য বেশি ভালনারেবল ও রিস্কি হয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য চিকিৎসক সংক্রমিত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে একটা সময়ে স্বাস্থ্য খাত তো পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। সুতরাং চিকিৎসকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে, নতুন করে নিয়োগ দিয়ে সংখ্যা বাড়াতে হবে।

সোনালীনিউজ/আইএ