বুয়েটকে ‘অক্সিজেট’ উৎপাদনের অনুমোদন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২১, ০৯:৩৬ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: কোনোভাবেই যেন ঠেকানো যাচ্ছে না প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপ।আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে দিনকে দিন।এপর্যন্ত ২০ হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩৭ জন মানুষ।সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) অক্সিজেট (রোগীদের উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের যন্ত্র) উৎপাদনের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন দেয়ার জন্য বুয়েটের তৈরি ‘অক্সিজেট’ নামের ডিভাইসটি আপাতত ২০০ ইউনিট উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বুধবার (২৮ জুলাই) রাতে অনুমোদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ডিভাইসটির উদ্ভাবক বুয়েট শিক্ষক ড. তওফিক হাসান।

বুয়েটের তৈরি অক্সিজেট

বুয়েট শিক্ষক ড. তওফিক হাসান বলেন, ‘আমরা কিছুক্ষণ আগে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে জানতে পেরেছি ২০০টি অক্সিজেট ডিভাইস উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা আশা করছি, এটি দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে করোনার সংক্রমণ রোধে কিছুটা হলেও কাজে লাগবে।’

উল্লেখ্য, ‘অক্সিজেট’ নামের একটি যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

এই যন্ত্রের মাধ্যমে তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদেরও হাসপাতালের সাধারণ বেডে রেখেই উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন–সহায়তা দেওয়া যাবে। যন্ত্রটির উৎপাদন খরচও খুব বেশি নয়। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ এরই মধ্যে যন্ত্রটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। করোনা চিকিৎসায় যন্ত্রটি ব্যবহারের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন দরকার। সে জন্য সম্প্রতি যন্ত্রের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

দেশের হাসপাতালগুলোর সাধারণ বেডে রোগীকে প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ ১৫ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া যায়। এর বেশি অক্সিজেনের দরকার হলে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা লাগে অথবা আইসিইউতে নিতে হয় কিন্তু বিশেষ ওই ক্যানুলা ও আইসিইউ দুটোরই সংকট থাকায় অনেক রোগীকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয় না। সম্প্রতি বগুড়ার একটি হাসপাতালে সাতজন রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনেরা হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা সংকটের অভিযোগ করেছিলেন। এই সংকটের সমাধান দেবে অক্সিজেট। এর মাধ্যমে হাসপাতালের সাধারণ বেডেই প্রতি মিনিটে ৬০ লিটার পর্যন্ত হাই ফ্লো অক্সিজেন দেওয়া যাবে। এই যন্ত্র চলবে বিদ্যুৎ ছাড়াই।

সোনালীনিউজ/আইএ