ওষুধ না খেয়েও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

  • স্বাস্থ্য ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০১৬, ০৫:৫৩ পিএম

বেড়েই চলেছে কাজের চাপ। বাড়িতেও নিয়ে যেতে হচ্ছে অফিসের কাজ। ঘুম কমছে, কমছে বিশ্রাম। নিট ফল, বাড়ছে রক্তচাপ। এবার কি তবে ডাক্তারের কাছে ছুটবেন? দরকার কি? ওষুধ ছাড়াই চেষ্টা করে দেখুন না।
চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ বাড়ার মূল কারণ লাইফস্টাইল। জীবনশৈলীতে কিছু পরিবর্তন আনলে ওযুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন রক্তচাপ। কিন্তু কীভাবে?

দিনে ৭ ঘণ্টা ঘুমোন: যাঁরা রাতে পাঁচ ঘণ্টা কিংবা তাঁর কম সময় ঘুমান, তাঁদের রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। কম ঘুমালে হরমোনের নিয়ন্ত্রণ এলোমেলো হয়ে যায়। ফলে আরও বাড়ে রক্তচাপ। রাতের ঘুম হতে হবে গাঢ়। বয়স বাড়লে ঘুম কমে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমান।

লবণ কম খান: লবণ বেশি খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বাড়ে। শরীরে বেশি পানি জমলে বাড়ে রক্তচাপ। ওজন বেশি হলে এবং লবণ বেশি খেলে হতে পারে হার্টের রোগ। অতএব বিপদ এড়াতে লবণে প্রক্রিয়াকরণ করা মাছ-মাংস খাওয়া কমান। খাবার টেবিল থেকে সরিয়ে দিন নিমকদানিটাও।

সপ্তাহে শরীরচর্চা করুন অন্তত ১৫০ মিনিট: পূর্ণবয়স্কদের জন্য সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাল্কা ব্যায়াম কিংবা ৭৫ মিনিটের ভারী ব্যায়াম করা জরুরি। ব্যায়ামই হল ওষুধ ছাড়া রক্তচাপ কমানোর মূল চিকিত্‍সা। রোজ ব্যায়াম করলে আপনার হার্টের জোর বাড়ে। শক্তিশালী হার্ট অনায়াসে বেশি পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে। ব্যায়াম করার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসছে কিনা বুঝতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস।

নিয়মিত ধ্যান করুন ১০ মিনিট: শরীরে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বেশি হলে শ্বাস দ্রুততর হয়। হার্টের গতি বাড়ে, বাড়ে রক্তচাপ। এই অবস্থা এড়াতে হলে মনকে সুস্থ ও উদ্বেগ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। স্ট্রেস কমাতে মনঃসংযোগ করে প্রতিদিন ধ্যান করুন অন্তত ১০ মিনিট।

তাজা ফল ও সবজি খান: যেসব ফল ও সবজিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম সেগুলি রক্তচাপ কমায়। ফল ও সবজির মধ্যে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার শরীরকে সুস্থ রাখে। পটাসিয়াম থাকার কারণে আলু ও রাঙালু শরীরে লবণের প্রভাব খর্ব করে। অতএব রক্তচাপ কমাতে নিয়মিত খান ফল ও সবজি।

ওজন কমান: শরীরের টিস্যুতে ফ্যাট জমলে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। তাতে চাপ পড়ে হার্টের ওপর। ওজন বেশি থাকলে অন্তত দু’তিন কেজি ওজন কমানো উচিত। সোজা কথায়, যতটা ক্যালরি আপনি পোড়াবেন তার চেয়ে কম খাবেন। চিকিত্‍সকদের এসব পরামর্শ মেনে চলতে পারলে দিব্যি সুস্থ থাকবেন আপনি। সূত্র: জিনিউজ

সোনালীনিউজ/এইচএআর