ধর্ষণের সময় নারীর শরীর কেন প্রতিবাদী হয় না

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৭, ০৪:০৯ এএম

ঢাকা : ধর্ষিতাকে নিয়ে অনেকেই বলে থাকেন, ঘটনার সময় ওই নারী প্রতিরোধ কেন করেননি। তার আসল কারণ অবশ্য শরীরের মধ্যেই লুকিয়ে। আসলে মাত্রাতিরিক্ত ভয়ে প্রতিবাদহীন হয়ে পড়ে শরীর। ফলে কোনও উপায় থাকে না নির্যাতিতার কাছে। গবষেণা করে এটাই বের করেছেন সুইডেনের একদল গবেষক। 

তারা জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত ভয় থেকে অনেক সময় ক্ষণস্থায়ী বিকলাঙ্গতা আসতে পারে। শরীর প্রতিরোধ করা বন্ধ করে দিতে পারে যতক্ষণ না ভয় কেটে যায়। যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এমনই হয়ে থাকে। তার সঙ্গে কী নৃশংস ঘটনা ঘটছে তা তিনি বুঝতে পারেন, তবে প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ করতে পারেন না।

গবেষকরা দেখেছেন, এক মাসের মধ্যে মোট ২৯৮ নারী ‘রেপ ক্রাইসিসি সেন্টার’ এ গিয়ে দেখা করেছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ এমন ছিলেন যারা ধর্ষণের মুহূর্তে বিশেষ নড়াচড়া করতে পারেননি। আর ৪৮ শতাংশ এমন ছিলেন যাদের শরীর একেবারেই নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়েছিল। 

ভয় থেকে শরীরের নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ‘টনিক ইমোবিলিটি’। যা নিগ্রহের পর নির্যাতিতাকে ট্রমায় পাঠিয়ে দেয়, অবসাদে আচ্ছন্ন করে। এর মধ্যে অন্তত ২২ শতাংশ নারী চূড়ান্ত অবসাদে চলে যান, যেখান থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা মুশকিল। 

সোনালীনিউজ/ এসও