মেয়ে জন্মায় না ভারতের ১৩৩ গ্রামে!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৯, ১১:১৯ এএম

ঢাকা : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” প্রচারাভিযান শুরু করেছেন। কন্যাশিশুদের রক্ষা ও লৈঙ্গিক সমতা এবং ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে তিনি এই কর্মসূচি চলু করলেও ঠিক  এর উল্টো স্রোতে হাঁটছে দেশটির উত্তরকাশী, দুন্ডা, ভাটওয়ারি ও নওগাঁও এই তিন ব্লকের আওতায় ১৩৩ টি গ্রাম রয়েছে। 

দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, এই  ১৩৩ গ্রামে তিন মাসে ২১৬ শিশুর জন্ম হয়েছে। কিন্তু, এই নবজাতকদের মধ্যে একটিও কন্যাসন্তান নেই। আর এই পরিসংখ্যান দেখে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের চোখ কপালে ওঠার উপক্রম হয়েছে।  

নেহাতই কাকতলীয় নাকি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে, গোপনে নষ্ট করা হচ্ছে কন্যাভ্রূণ? এটাই এখন সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে লাখ টাকার প্রশ্ন। প্রশ্ন জেগেছে, নরেন্দ্র মোদির 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও'-এর উল্টো স্রোতে কি হাঁটছে উত্তরকাশী? 

উত্তরাখণ্ড স্বাস্থ্য দপ্তরের নথি বলছে, দুন্ডা ব্লকের ২৭ গ্রামে ৫১ শিশুর জন্ম হয়েছে। সবক'টিই ছেলে। ভাটওয়ারি ব্লকেও দেখা যাচ্ছে, ৪৯ নবজাতকের মধ্যে কোনও কন্যাসন্তান নেই। নওগাঁও ব্লকের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, ভূমিষ্ঠ সব শিশুই পুত্রসন্তান, মেয়ে নেই। এই রহস্য খুঁজতে বাধ্য হয়েই তদন্তে নামতে হচ্ছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। 

এ বিষয়ে উত্তরকাশী জেলা প্রশাসক আশিস চৌহান জানান, এর কারণ অনুসন্ধানে উল্লিখিত গ্রামগুলোতে খুব শিগগিরই একটি টিম পাঠানো হবে। ০-৬ বছরের মধ্যে ছেলে ও মেয়ের অনুপাত দেখা হবে। যদি সত্যিই দেখা যায়, কন্যাশিশুর জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, তা হলে বিশদ অনুসন্ধান চালানো হবে। 

উল্লেখ্য ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে নারীর আনুপাতিক হার সবচেয়ে কম।

সোনালীনিউজ/এএস