দাউ দাউ করে পুড়ছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৫:৫৪ পিএম

ঢাকা: তীব্র আগুনে জ্বলছে আমাজন। রেন ফরেস্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় পুড়ছে হাজার হাজার গাছ। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্স (আইএনপিই) বলছে, দাবানলে প্রতি মিনিটে অ্যামাজনের প্রায় ১০,০০০ বর্গমিটার এলাকা পুড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এ অবস্থা চলতে থাকলে জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী লড়াইয়ে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।

পুড়ে পুড়ে আম্যাজনের সবুজ গাছপালা ধূসর রঙ ধারণ করছে। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে তাদের পাওয়া তথ্য মতে এবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য সংরক্ষণবাদিরা ব্রাজিল সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন। 

তাদের দাবি, সরকারের কৃষি বিষয়ক নতুন নীতির কারণেই পুড়ে উজাড় হচ্ছে অ্যামাজন।

তবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো সন্দেহ করছেন বন উজাড় করতে এনজিওগুলো অ্যামাজন জঙ্গলে গিয়ে আগুন ধরাচ্ছে।

এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা (নাসা) এক টুইটে জানিয়েছে অ্যামাজন থেকে আসা ধোঁয়ার কারণে ব্রাজিলের বিভিন্ন প্রদেশের আকাশ কালো হতে শুরু করেছে। এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) ব্রাজিলের রাজধানী সাও পাওলো দিনের বেলায় এক ঘণ্টা ধুঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিলো। সেই ধোঁয়ার উৎপত্তি ছিলো রাজধানী থেকে ২৭০০ কিলোমিটার দূরের অগ্নিকাণ্ড।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত অ্যামাজন জঙ্গলে ৭২ হাজার ৮৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অ্যামাজানের অর্ধেকেরও বেশি এলাকাজুড়ে যার ব্যাপ্তি। এ সংখ্যা গতবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেশি। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের খবর হলো, গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি আগুন লেগেছে অ্যামাজনে। অ্যামাজন জঙ্গলে ৩০ লাখ জাতের উদ্ভিদের আবাসস্থল। এখানে বাস করেন ১০ লাখ মানুষ। পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০ শতাংশই উৎপাদন হয় এখানে। এ কারণে অ্যামাজনে ব্যাপক মাত্রার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ