করোনায় স্তব্ধ ইতালি!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২০, ০৫:১৭ পিএম

ঢাকা : মহামারী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত ইউরোপের দেশ ইতালি। এক দিনের মৃত্যুসংখ্যা আগেরদিনকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। লাশের পাহাড়ে পরিণত হয়েছে ইতালির শহরগুলো। করোনায় যেন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশটি।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) একদিনে ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬০১ জন। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ৮২০। একদিনে নতুন আক্রান্ত ৫ হাজার ২৪৯। সোমবার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৭৮৯।

দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৩। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ হাজার ৩২৬। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৩০ জন।এনিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ১৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি জনগনের সচেতনত বৃদ্ধি করতে মনে সাহস জোগাতে টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন। কারো যেন মনোবল এখনই দুর্বল হয়ে না যায়। করোনা মোকাবেলায় জনগণের জন্য বিভিন্ন ভাল পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।

একইসঙ্গে প্রশাসনে আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে গোটা ইতালিতে। এরইমধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চল লম্বারদিয়ায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভাইরাস যতদিন শেষ না হয় ততদিন ধৈর্য ধরে যেন সবাই চলাফেরা সীমিত করে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রোমের মেয়র রাজ্জি বলেছেন, সমস্যা সমাধানে আমাদের সবার সতর্ক হতে হবে। সবাইকে বাসায় থাকতে আহ্বান জানাই। চলাফেরা একটু সীমিত করুন। কঠিন সময় পার করছে আমাদের দেশে।

তিনি বলেন, মাস্ক সমস্যা সমাধান হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রোমের জন্য কিছু মাস্ক আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। শিগগিরই আরও দেড় লাখ মাস্ক পর্যায়ক্রমে আসতে থাকবে।

উল্লেখ্য, চীন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। সেখানে ভাইরাসটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও অন্য দেশে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।

এতে প্রতিনিয়তই প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে ইতালিতেই ৭৪৩ জন।

এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ হাজার ৮১০ জনে। এর মধ্যে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ২৭৭ এবং চীনের বাইরে মারা গেছে ১৫ হাজার ৫৩৩ জন।

এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৫৬৮ জনসহ আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৪১৩ জন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই