প্রথমবারের মতো করোনা ছড়ানোর ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৬, ২০২০, ১২:০৬ পিএম

ঢাকা : বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিস্তারিত কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন। এসব ছবিতে অন্ত্রের মধ্যে মারাত্মক ভাইরাসটি বহুগুণে বেড়ে যাওয়া দেখানো হয়েছে।

ছবিগুলো যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল ধারণ করেছে। অতি শক্তিশালী একটি ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে এগুলো তোলা হয়েছে, যা মানবদেহের অন্ত্রের একটি কোষের মডেলের মধ্যে ভাইরাস কণাগুলো প্রদর্শন করেছে।

ছবিগুলো ধারণ করার ক্ষেত্রে, গবেষকরা কোষের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার আগে একটি পরীক্ষাগারে ভাইরাস দ্বারা মানুষের অন্ত্রের কোষগুলোকে সংক্রামিত করেছিলেন।

ছবিগুলোর প্রথম সেটটি মানুষের অন্ত্রে ভাইরাসটিকে একত্রিত হওয়া দেখায়, দ্বিতীয় সেটটিতে ভাইরাসটি মানুষের অন্ত্রের কোষ ছেড়ে যাওয়া দেখায়। প্রতিটি ছবির সাইজ ৩০-৫০ গিগাবাইটের বেশি। তুলনা করলে বলা যায়, এটি একটি আইফোনে ধারণ করা ছবি চেয়ে ৫০০ থেকে ১০০০ গুণ বড়!

বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে অনন্য এই ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য গবেষকরা নতুন একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছেন, যার নাম ইমেজ ডেটা রিসোর্স (আইডিআর)।

এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক জেসন সুইডলো বলেছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ নতুন এই ডেটাসেটগুলো আইডিআরে প্রকাশ করা নিয়ে আমরা খুবই এক্সাইটেড। বিশ্বজুড়ে গবেষকরা এগুলো দেখতে পাবেন, তারা ছবিগুলো স্ক্যান করতে পারবেন এবং নিজেদের কম্পিউটারে খুব কাছ থেকে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস দেখতে পাবেন।’

অধ্যাপক সুইডলো আরো জানিয়েছেন, ‘আমরা গবেষণার লেখকদের কাছ থেকে পাদটীকা অন্তর্ভুক্ত করেছি। সুতরাং যে কেউ নেদারল্যান্ডসের গবেষণা দলের কাছ থেকে যদি গবেষণা রিপোর্টটি পড়েন তাহলে সহজেই লেখকগণ কী প্রকাশ করেছেন তা দেখতে পাবে। তবে আগ্রহীরা ডেটার অন্যান্য অংশগুলোও পরীক্ষা করতে পারবে এবং তাদের নিজস্ব আবিষ্কারও এতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।’

তার মতে, ‘এ ধরনের ডেটা শেয়ার করা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমাদের মনে হয়েছে। কেননা এর ফলে এই রোগ সম্পর্কে আরো জানার জন্য অবিলম্বে বিশ্বজুড়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা এবং শেষ পর্যন্ত এটির চিকিত্সা বা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে হবে।’

গবেষকরা আশা করছেন, ছবিগুলো করোনাভাইরাসের প্রায় এক তৃতীয়াংশ রোগীকে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণগুলো যেমন বমি এবং ডায়রিয়ার অভিজ্ঞতা কেন দেয় তা ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করবে।

সোনালীনিউজ/এএস