সাদ্দাম হুসেইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইজ্জত ইবরাহিমের মৃত্যু

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২০, ০২:২৭ পিএম

ঢাকা: ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইজ্জত ইবরাহিম আল-দৌরি (৭৮) মারা গেছেন। ইরাকি বাথ পার্টি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। খবর আনাদোলু ও দ্যা গার্ডিয়ানের।

ওই পোস্টে বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইরাকি বাথ পার্টি আল-দৌরিকে ‘বাথ এবং ইরাকি জাতীয় প্রতিরোধের যোদ্ধা’ বলে আখ্যা দেয়।

সাবেক ইরাকি শাসকের ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযান চালালে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এর পর তাকে খুব একটা প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তিকরিতের কাছে এক এলাকায় জন্ম নেয়া আল-দৌরিকে ডাকা হতো ‘আইসম্যান’ নামে। একসময় বরফ সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।

১৯৬৮ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে ইরাকি বাথ পার্টি। সেই সময় বাথ পার্টি নেতা আহমেদ হাসান আল-বাকার ইরাকের প্রেসিডেন্ট হন, প্রধানমন্ত্রী হন সাদ্দাম হুসেইন। আল-দৌরি সেই সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন।

পরে ইরাকি রেভ্যুলশনারি কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি এবং সাদ্দামের অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে ওঠেন। ইরান ও কুয়েতের সঙ্গে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

আনফাল ক্যাম্পেইনের অন্যতম কারিগর বলা হয়ে থাকে তাকে। ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত কয়েক লাখ কুর্দি নিধন করা সংগঠিত হয়। যেটিকে ‘কুর্দি গণহত্যা’ হিসেবেও পরিচিত।

আল-বাকারের পর বাথ পার্টির প্রধান এবং ইরাকের প্রেসিডেন্ট হন সাদ্দাম। ২০০৩ সালে ইঙ্গ-মার্কিন নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণ করে। সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্মক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছেন এমন অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে, যদিও পরবর্তী সময় এমন কোনো অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায়নি।

১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে সাদ্দাম মার্কিন সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তী ইরাকি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এক বিচারে তাকে ফাঁসি দেয়। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর হয়।

সোনালীনিউজ/টিআই