উত্তর কোরিয়ায় গুরুতর ঘটনা, ইঙ্গিত করোনার দিকে

  • আর্ন্তজাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২১, ০৭:০৩ পিএম
ফাইল ফটো

ঢাকা: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটিতে কোভিড-১৯ জনিত এক গুরুতর সংকটের কথা জানিয়েছেন। এই সংকট উল্লেখ করে কয়েকজন কর্মকর্তাকে শাস্তিও দিয়েছেন তিনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই ভাইরাস যাতে দেশে ঢুকতে না পারে তার জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে কেউ করোনায় সংক্রমিত হয়নি।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে বলেছে, আড়াই কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে তারা এখন পর্যন্ত একটিও নিশ্চিত করোনাভাইরাস কেস পাওয়া যায়নি। যদিও এমন দাবির ব্যাপারে পর্যবেক্ষকরা বরাবরই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন।

তবে কিম জং উন সম্প্রতি এক ভাষণে একটি ‘গুরুতর ঘটনার’ কথা উল্লেখ করেছেন। এটা উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে সেটার ইঙ্গিত দিতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন।

পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজে অবহেলার অভিযোগ এনে কিম বলেন, এ কারণে এক গুরুতর ঘটনা ঘটেছে- যা জনগণ এবং দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক গুরুতর ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার টিভির রিপোর্টে সেই কথিত ‘গুরুতর ঘটনা’ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। 

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি উত্তর কোরিয়ায় অবনতিশীল স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু কিম সম্ভবত বলির পাঁঠা হিসেবে কর্মকর্তাদের দোষ দিয়ে দু’জন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞান ও শিক্ষা দপ্তরের প্রধানকে তাদের পদ থেকে নিচে নামিয়ে দিয়েছেন।

সিউল ইউহা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ঘটনাবলীর অধ্যাপক ড. লেইফ-এরিক ইজলি বলেন, এমনও হতে পারে যে কিম এর মধ্যে দিয়ে বিদেশ থেকে টিকা গ্রহণ করার রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করছেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচ