যুক্ত হলো কোভিডের নতুন উপসর্গ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১, ০১:৫২ পিএম

ঢাকা : করোনাভাইরাস সংক্রমণের মৃদু উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান এক ব্যক্তি। কয়েকদিন হাসপাতালে রাখার পরে সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

কিন্তু তার দুই-তিনদিন পর থেকেই অন্য সমস্যা দেখা দেয় তার। মলদ্বারের কাছে অস্বস্তি হতে শুরু করে। ফের হাসপাতালে কাছে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক জানান, ওই ব্যক্তি ‘রেস্টলেস অ্যানাল সিন্ড্রোম’ নামক অসুখে আক্রান্ত।

এমন ঘটনা ঘটেছে জাপানের রাজধানী টোকিওতে। কোভিড সংক্রমণ থেকে ৭৭ বছরের এক বৃদ্ধ মলদ্বারের বিরল সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সমস্যার সঙ্গে অর্শের কিছু মিল থাকলেও, এটি পুরোপুরি অর্শ নয়।

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর দুই-তিনদিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি মলদ্বারের কাছে অস্বস্তি অনুভব করেন। বার বার শৌচালয়ে গিয়েও সেই সমস্যা না কমায় তিনি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। আক্রান্ত ব্যক্তির অর্শের সমস্যা আছে।

চিকিৎসক জানান, সেই অর্শের সমস্যাই আরও কিছুটা বেড়ে অন্য আকার নিয়েছে। মলদ্বার ও যৌনাঙ্গের মধ্যবর্তী একটি স্থানের স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিয়েছে। একেই বলা হয় ‘রেস্টলেস অ্যানাল সিন্ড্রোম’।

কী এই সমস্যা? অনেকে ‘রেস্টলেস লেগস সিন্ড্রোম’ নামক স্নায়ুর সমস্যায় আক্রান্ত হন। সেক্ষেত্রে পা সারাক্ষণ নড়াচড়া করতে চায়। না হলে অস্বস্তি হতে থাকে। ঘুমের মধ্যেও পা নড়তে থাকে। রেস্টলেস অ্যানাল সিন্ড্রোম হলো রেস্টলেস লেগস সিন্ড্রোমের একটি রূপ। এক্ষেত্রে একই সমস্যা হয় মলদ্বারের পেশিতে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোভিড বেঁচে সুস্থ হওয়ার পর অনেকেই পরের সপ্তাহগুলোতে এই রেস্টলেস লেগস সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হচ্ছেন।

হাঁটাচলা, দৌঁড় বা ভিডিও গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময়ে এই সমস্যা বিশেষ টের পাননি বলে জানিয়েছেন ওই আক্রান্ত ব্যক্তি। কিন্তু বিশ্রাম নিতে গেলেই সমস্যা ফিরে এসেছে। আক্রান্তকে শেষ পর্যন্ত ঘুমের ওষুধ দিতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসকরা। শুরু হয়েছে মলদ্বার ও তার চারপাশের স্নায়ুর চিকিৎসাও।

এ বিষয়ক কেস স্টাডিটি বিএমসি ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন ডা. ইতারা নাকামুরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঁটাচলা বা দৌঁড়ের মতো ব্যায়াম ও ভিডিও গেম খেলার সময় এই সমস্যা টের পাওয়া যায় না। কিন্তু বিশ্রাম নিতে গেলে এই সমস্যা প্রকট হচ্ছে।  সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও টাইমস অব ইন্ডিয়া

সোনালীনিউজ/এমটিআই