আট হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করল তুরস্ক

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৬, ০৪:২১ পিএম

ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে তুরস্কের ৮ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দেশটির বিচার বিভাগের সদস্য ও সেনাবাহিনীর জেনারেলসহ আরো অন্তত ৬ হাজার জনকে আটক করেছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যাদের কারণে অভ্যুত্থান হয়েছে তাদেরকে ‘ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করে মুছে ফেলার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান তুরস্কে আইনের শাসনের সুরক্ষা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন।

তুরস্ক সরকার বলছে, সামরিক অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশটির নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন জড়িত। বর্তমানে গুলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীর শতাধিক জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে, অভ্যুত্থানের পর হেলিকপ্টারে করে গ্রিসে পালিয়ে যাওয়া আট তুর্কি সেনা কর্মকর্তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রিসের একটি আদালতে তোলা হচ্ছে। রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাসের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার পর ২০০৪ সালে তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ১৯৮৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘারিনি ব্রাসেলসে বলেছেন, আইনের শাসন থেকে তুরস্ককে পেছনে নিয়ে যাবে এমন পদক্ষেপ ঠেকাতে কোনো অজুহাতের তোয়াক্কা করা হবে না।

উল্লেখ্য, তুরস্কে শুক্রবার রাতে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অভ্যুত্থানে বেসামরিক নাগরিকসহ এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তাসহ আটক করা হয়েছে অন্তত ১৪ হাজার জনকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ