১০১ বছর বয়সে মা হয়ে বিতর্কে এই বৃদ্ধা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৬, ০৪:১৭ পিএম

বয়স ১০১। ভঙ্গুর শরীরে তার চামড়া ঝুলে গেছে। তবুও ইতালির আনাতোলিয়া ভার্তাদেলার জীবনে এখন উদযাপনের সময়। কিছুদিন আগেই যে তার কোল আলো করে এসেছে ফুটফুটে এক পুত্র। সন্তানের সংখ্যার দিক থেকে যা ১৭তম। অর্থাৎ আরও ১৬ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। তবে সর্বশেষ পুত্র সন্তানের জন্মলাভ সম্ভব হয়েছে ওভারি ট্রান্সপ্লান্টের (ডিম্বাশয় প্রতিস্থাপন) মাধ্যমে। আর তা নিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন শতায়ু এই বৃদ্ধা।

বিতর্ক ওঠে ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী ওভারি ট্রান্সপ্লান্ট বেআইনি। তবে কীভাবে এই অস্ত্রপচার করালেন বৃদ্ধা? আনাতোলিয়া জানিয়েছেন, তুরস্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি এই অস্ত্রপচার করেছেন। যেখানে ডিম্বাশয় প্রতিস্থাপন নিয়ে ইউরোপীয় আইন কার্যকর নয়। তবে সেই ক্লিনিকের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি। শুধু বলেন, ‘যারা আমার অস্ত্রপচার করেছেন সেই চিকিৎসকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

কীভাবে মা হলেন আনাতোলিয়া? ‘১৯৯৮ সালে আমার স্বামী মারা গেছেন। ইন্টারনেটে শুক্রানুদাতা খুঁজতে গিয়ে ফ্রান্সেস্কোর (সদ্যজাতর নাম) বাবাকে পাই। ২৬ বছরের এক ক্যাথলিক যুবক। এটাই আমার কাছে যথেষ্ট ছিল। আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার সন্তানকে যেন ক্যাথলিক চার্চ গ্রহণ করে। আমি ফ্রান্সেস্কোর বাবাকে বিয়ে করিনি। আমার সন্তানের জীবনেও ওর কোনো ভূমিকা থাকবে না। এই কথা আমি পোপকে লিখে জানিয়েছিলাম। পোপের নামানুসারে সন্তানের নামও রেখেছি। আমার বিশ্বাস, পোপ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। এখনো আমি আমার মৃত স্বামীকে ভালবাসি। যতদিন বাঁচবো তার বিধবা হয়েই বাঁচতে চাই।’ সদ্যজাতকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন লোলচর্ম মা।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার নজির এখন আনাতোলিয়ার। এতদিন এই নজিরের অধিকারী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মালেগওয়ালে রামোকগোপা। ১৯৩১ সালের ৬ অক্টোবর তার ২৫ ও ২৬তম (যমজ) সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এর তিন দিন আগে ৯২ বছরের জন্মদিন পালন করেন মালেগওয়ালে। সূত্র: আনন্দবাজার

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর