যেখানে নারী বিক্রি হয় ১২৪ টাকায়!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০১৬, ০৩:০৬ পিএম

পৃথিবীর অনেক দেশেই দেহ ব্যবসা আইনত বৈধ, যদিও অনেক দেশেই একে বেআইনীও মনে করা হয়। তেমনই ভারতেও দেহব্যবসা অবৈধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেদেশে বেশ রমরমিয়ে চলছে এই বেআইনী কারবার।

ডেইলি মেলের খবর অনুযায়ী, এশিয়ার সব থেকে বড় রেডলাইট এরিয়া ভারতেই রয়েছে। সেই জায়গায় নাম অনেকেই জানেন, কলকাতার সোনাগাছি। এই এলাকাটা ঠিক যত না বড় তার থেকেও বড় এখানে বসবাসকারী মহিলাদের দুঃখের কাহিনী। এখানে প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি পতিতা বাস করেন।

সোনাগাছির অলিগলিতে পথ শিশুর ভিড়, মেকআপে ব্যস্ত যুবতী থেকে অন্দরে অপেক্ষারত রমণী এই এলাকায় হামেশাই চোখে পড়ে। এখানে বিভিন্ন বহুতল বাড়িতে দেহব্যবসার আসর বসে। এখানে কেউ পেটের দায়ে শরীর বেচে আবার কাউকে জোর করে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়। একবার কেউ এখানে ফেঁসে গেলে সহজে তার নিস্তার নেই।

কলকাতাকে আনন্দনগরী বলা হলেও গোটা শহরের অন্ধকার যেন এই এদো গলিতে। এখানকার মহিলাদের কাছে এটাই স্বর্গ। কিন্তু নিজেদের সন্তানদের নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন এরা। ছেলেমেয়েদের গায়ে যাতে কাদা না লাগে সেই চেষ্টাই করে চলেন এরা।

এমনিতে পতিতাপল্লী ও দেহব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রচুর সিনেমা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আপনি শুনলে আবাক হতেই পারে, সোনাগাছির জীবন নিয়েও সিনেমা তৈরি হয়েছে। ‘বর্ন ইন ব্রথেলস’ নামের সিনেমাটি অস্কারও পয়েছে।

এখানকার জীবন দুর্ভাগ্য শব্দটিকেও হার মানায়। যে বয়সে আমরা সমাজের নিয়ম-কানুন, শিখি সে বয়সে এখানকার মেয়েরা নিজের শরীর বিক্রি করতে শেখে। ১২ থেকে ১৭ বছরের নাবালিকারা অচেনা পুরুষের সঙ্গে রাত কাটাতে শেখে, তাদের মন জোগাতে শেখে। তার বদলে তারা পায় মাত্র ১২৪ টাকা।

এই এলাকায় যদিও বাইরের লোকের আনাগোনা নিষিদ্ধ। এমনকি সাংবাদিক বা ফটোগ্রাফারদেরও এলাকার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম