যৌনদাসীদের ‘ভার্জিনিটি টেস্ট’!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬, ০১:৪০ পিএম

এ যেন উভয় সংকট। আইএস জঙ্গিরা তাদের রাখত যৌনদাসী করে। কিন্তু জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্ত হয়েও রক্ষা নেই। এবার বাইরের সমাজ তাদের থেকে চাইছে সতীত্বের পরীক্ষা। এক মানবাধিকার সংগঠনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই মর্মান্তিক বাস্তবতার ছবি।

নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন এক সংগঠন সম্প্রতি বেশ কয়েকজন মহিলার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। যেমন লুনা। ২০১৪ সালে আইসিস জঙ্গিরা তাকে অপহরণ করে। তাকে বিক্রি করা হয় চারবার। প্রত্যেক মালিকই ধর্ষণ করে তাকে। কোনক্রমে জঙ্গিদের কবল থেকে পালিয়ে বেঁচেছিলেন তিনি। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। এবার তাকে দিতে হচ্ছে ‘ভার্জিনিটি’র পরীক্ষা। আইএস জঙ্গিরা যৌনদাসীদের উপর কতখানি অত্যাচার করে, তা জানতেই নাকি এই পরীক্ষা। অর্থাৎ তাদের উপর নির্যাতনের চিহ্নস্বরূপ এই পরীক্ষার আয়োজন। এবং বলা বাহুল্য সেখানেও অশ্লীলতার শেষ নেই।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের তরফে এই ধরনের পরীক্ষা অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সে নিদানও যথেষ্ট নয়। আইএস জঙ্গিদের বর্বতার মাপকাঠি হয়ে উঠেছে এই মহিলাদের ‘ভার্জিনিটি টেস্ট’। সতীত্বের বস্তাপচা ধারণাকে কাজে লাগিয়েই তাদের উপর এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তাদের মনে করানো হচ্ছে, তারা তাদের জীবনের সব থেকে মূল্যবান জিনিসটি খুইয়ে এসেছেন। ভবিষ্যৎ জীবনে যা তাদের সমস্যায় ফেলবে। এই ধারণা থেকে অনেকেই ‘হাইমেন রিকনস্ট্রাকশন’ সার্জারির আশ্রয় নেন। তবে এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য শুধু সেখানেই থেমে নেই। আসলে জঙ্গিদের নির্মমতাকে বর্ণনা করতে এদের হাতিয়ার করা হচ্ছে। আর তাই যৌনদাসীর ভয়ঙ্করতম জীবন থেকে বেরিয়েও নিষ্কৃতি নেই এদের। আরও অস্বস্তিকর পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

লুনার মতো সমস্ত মহিলাদের থেকে যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্দে সোচ্চার হয়েছে বেশ কিছু মহিলা সংগঠন ও মানবাধিকার রক্ষী কর্মীরা। নারীদের ক্ষেত্রে, জঙ্গিদের মানসিকতা আর তার বাইরের দুনিয়ার মনোভাবে যে তেমন কোনও ফারাক নেই- এই ঘটনা যেন তাই নতুন করে প্রমাণ করছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম