ভারতের বিতর্কিত আইনে নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ অমুসলিম

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ০১:২৭ পিএম

ঢাকা : ধর্মীয় দিক থেকে নির্যাতিত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রেখে ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) পাস করে ভারত সরকার। চলতি বছর সংসদে অনুমোদন পায় সে আইন। দেশজুড়ে নানারকম বিতর্ক ও আলোচনা হয়েছিল আইনটি নিয়ে।

এবার বিতর্কিত সেই আইনের অধীনে প্রথমবারের মতো ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন ১৪ জন অমুসলিম অভিবাসী।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ মে) তাদের হাতে নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেয়া হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

[223449]

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় দিক থেকে নির্যাতিত অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রেখেই তৈরি হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)। আইন অনুমোদনের প্রায় দুই মাস পরে ১৪ জনকে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেওয়া হয়।

ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়া ১৪ জন অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। এরপর সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। বুধবার তাদের হাতে সনদ হস্তান্তর করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।

নাগরিকত্ব পাওয়া হরিশ কুমার বলেন, "আমি গত ১৩-১৪ বছর ধরে দিল্লিতে বাস করছি। এটি একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার অনুভূতি, আমি খুব খুশি। নাগরিকত্ব পাওয়া আমার কাছে একটি নতুন জীবন।

নাগরিকত্বের সনদ পাওয়াদের মধ্যে একজন ভাবনা। ২০১৪ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে, আমরা মেয়েরা পড়াশুনা করতে পারতাম না এবং বাইরে যাওয়া কঠিন ছিল। বাইরে যেতে হলে আমাদের বোরকা পরতে হত। কিন্তু ভারতে আমরা পড়াশোনা করতে পারছি এবং সব জায়গায় যেতে পারছি।‘  

[223431]

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে সিএএ আইন পাস করে ভারত। আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বুদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায় যারা তাদের ভাষায় নিজেদের দেশে ধর্মীয়ভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের ভারতে নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়ার জন্য এই আইন পাস হয়।

২০১৯ সালে আইন পাসের চার বছর পর চলতি বছরের গত ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই আইনের অধীনে নাগরিকত্ব আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল।

তবে ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় সিএএ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। অনেকে আশঙ্কা করছেন যে আইনটি তাদের অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করতে এবং তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে ব্যবহার করা হতে পারে।

এমটিআই