যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস, গাজায় শান্তির নতুন আশার আলো

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৯:২৩ এএম

ঢাকা: গাজা যুদ্ধ অবসানে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে হামাসের সদ্য অনুমোদিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) মিসরের সরকারি একটি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, এই নতুন চুক্তির আওতায় হামাস গাজায় তাদের হাতে আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের অর্ধেককে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলও কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।

এক ফেসবুক পোস্টে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম বলেন, “গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা যে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমরা সম্মতি জানিয়েছি।” তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

মিসরের সরকারি সূত্র আরও জানায়, এই প্রস্তাবের অধীনে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ৬০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে আশা করা হচ্ছে, এই বিরতি দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসানে একটি সমন্বিত রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুলে দেবে।

আরও একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, নতুন প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া আগের প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেটিতে ইসরায়েল ইতিপূর্বে সম্মতি জানিয়েছিল।

এদিকে গাজা নগরীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির ভেতরে-বাইরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে রোববার হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বিশ্লেষকদের মতে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ।

[254869]

বিক্ষোভকারীরা শুধু যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানই জানাননি, বরং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে আটক থাকা অবশিষ্ট ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির দাবিও তুলেছেন। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ওই জিম্মিদের অন্তত ২৯ জন এখনো জীবিত রয়েছেন।

অন্যদিকে সম্ভাব্য নতুন ইসরায়েলি স্থল অভিযানের আতঙ্কে গাজার পূর্বাঞ্চল থেকে হাজারো মানুষ পশ্চিম ও দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও নিরাপত্তা নেই; লাগাতার গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে মিসর ও কাতার নতুন করে মধ্যস্থতার চাপ বাড়িয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

ওএফ