গাজাকে ‘দুর্ভিক্ষ’ শহর ঘোষণা জাতিসংঘের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম

ঢাকা : জাতিসংঘের বৈশ্বিক ক্ষুধা এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আইপিসি গাজা শহরে প্রথমবারের মতো দুর্ভিক্ষ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সংস্থাটি বলেছে, গাজা গভর্নরেটের মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছেন। এর আওতায় রয়েছে গাজা সিটি এবং আশপাশের এলাকা।

আইপিসি খাদ্য সংকটের মানদণ্ডে গাজা সিটিকে তাদের শ্রেণিবিভাগে ‘পঞ্চম ধাপে’ উন্নীত করেছে। যা খাদ্য সংকটের সর্বোচ্চ ধাপ। যার অর্থ গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকার মানুষ এখন অনাহার এবং চরম দারিদ্রতায় ভুগছেন এবং মানুষ খাওয়ার জন্য কিছুই পাচ্ছেন না।

গাজার সিটির পর দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনুস শহরও একই দিকে এগোচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এ দুটি শহরে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি। যার অর্থ গাজাজুড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে থাকবেন।

এছাড়া গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বা ১০ লাখ ৭ হাজার মানুষ আইপিসির ‘ধাপ-৪’ এ রয়েছেন। তারা খাদ্য জরুরি অবস্থার মধ্যে আছেন। এই মানুষগুলো খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অপরদিকে ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (জনসংখ্যার ২০ শতাংশ) ‘ধাপ-৩’ এ আছেন। তারাও খাদ্য সংকটে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

আইপিসি নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে না যে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে কিনা। তবে এমন বিশ্লেষণ প্রদান করে যা সরকার, সংস্থা এবং সংস্থাগুলোকে দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে বিবৃতি বা ঘোষণা জারি করতে দেয়।

আইপিসির ৫৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দুর্ভিক্ষ ‘সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যসৃষ্ট’ এবং এটি ‘স্থগিত ও বিপরীত’ করা যেতে পারে।

সংস্থাটি বলেছে, “বিতর্ক ও দ্বিধাগ্রস্ততার সময় পার হয়ে গেছে, দুর্ভিক্ষ উপস্থিত এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।”

প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, “যখন মনে হচ্ছে গাজার জীবন্ত নরক বর্ণনা করার জন্য আর কোনো শব্দ অবশিষ্ট নেই, তখনই একটি নতুন শব্দ যোগ করা হয়েছে: দুর্ভিক্ষ।”

তিনি বলেন,  এটি ‘কোন রহস্য নয়’, বরং ‘একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, একটি নৈতিক অভিযোগ এবং মানবতার ব্যর্থতা।’

পিএস