ঢাকা: গত দুই সপ্তাহে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূল থেকে অন্তত ৬১ জন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জরুরি চিকিৎসা ও সহায়তা কেন্দ্র এমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার জানিয়েছে, মৃতদেহগুলো জুয়ারা থেকে রাস ইজদির পর্যন্ত এলাকায় পাওয়া গেছে। যা তিউনিসিয়ার সীমানার কাছাকাছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, “মেল্লিতা এলাকায় তিনটি এবং জুয়ারায় ১২টি মৃতদেহের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে, এরা সকলেই অনিয়মিত অভিবাসী।”
কেন্দ্রটি আরও জানায়, জুয়ারা, আবু কাম্মাশ এবং মেল্লিতা এলাকায় আরও ৩৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও তারা জানায়, ১২টি মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে, তবে বাকি কিছু মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ও নথিভুক্তির জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রটির যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসাকর্মীরা সৈকত থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছেন এবং সেগুলো সাদা প্লাস্টিক ব্যাগে রাখছেন।
সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম জানায়, লিবিয়ার উপকূলে ৭৫ জন সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকা আগুনে পুড়ে গেলে অন্তত ৫০ জন মারা যান।
আইওএম-এর তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার ১০০টি পৌরসভা জুড়ে ৪৫টি জাতীয়তার মোট ৮৯৪,৮৯০ জন অভিবাসী বর্তমানে সেখানে বসবাস করছে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত আন্দোলনে একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। যারা সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে চায়।
পিএস