সাত শিক্ষকের ভয়ঙ্কর ধর্ষণমিশন!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০১৬, ০৫:৪৭ পিএম

ঢাকা: স্কুলটি ছিল অনেক দূরে। ভরসা ছিল স্কুল হোস্টেল। সে কারণেই অভিভাবকরা নিশ্চিন্তে তাদের মেয়েদের সেখানে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কল্পনাও করতে পারেননি কি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরবে তারা। হোস্টেলে থাকা ১২ জন নাবালিকা আদিবাসী ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে গেছেন স্কুলেরই সাত শিক্ষক আর চার অশিক্ষক কর্মচারী। আর ধর্ষণের ফলে তিন ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছে।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের বুলধানা এলাকার নিনাধি আশ্রমিক স্কুলে। ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এরা প্রত্যেকেই অবস্থান করছিল স্কুলের হস্টেলে। দিওয়ালির ছুটিতে ছাত্রীরা বাড়ি ফিরে আসার পর ঘটনা প্রকাশ পায়। কয়েকজন ছাত্রী তাদের বাবা মা-কে খুলে বলে তাদের ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা। এরপর এক কান দুকান কররে সবাই জেনে যায়। 

তবে এখন পর্যন্ত মাত্র একজন ছাত্রীর অভিভাবকই থানায় অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে ওই সাত শিক্ষকসহ ১১ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

মহারাষ্ট্র পুলিশ জানাচ্ছে, সেই ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। শুধু নিজের কথাই নয়, তার সহপাঠীরাও কীভাবে দিনের পর দিন ওই ১১ জনের লালসার শিকার হয়েছে তাও জানিয়েছে। ছাত্রীর বয়ানের ভিত্তিতেই ধরা হয়েছে ১১ জনকে। পুলিশ চাইছে, বাকি অভিভাবকরাও তাদের অভিযোগ দায়ের করুন। পুলিশ জানায়, ধর্ষিতাদের মধ্যে তিন জন সম্ভবত অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে, এমন ধারণা অভিভাবকদের। দ্রুত তাদের মেডিকেল টেস্টের ব্যবস্থা করছে পুলিশ।

সোনালীনিউজ/এমএন