ইসলামকে ‘ক্যান্সার’ মনে করেন ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৬, ০২:২২ পিএম

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নতুন প্রশাসন গুছিয়ে নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর শুরু হবে তার এই নতুন প্রশাসনের কার্যক্রম। আর এরই মধ্যে এই প্রশাসন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কট্টর ইসলামবিরোধী মাইকেল ফ্লিনকে ইতিমধ্যে নিজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। উপদেষ্টা মনোনীত হয়েই ফ্লিন জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে নৈতকভাবে সব সংস্কৃতি সমান। এর আগে ইসলামকে ‘ক্যান্সার’ আখ্যায়িত করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন ফ্লিন। তাকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঘোষণা করায় উদ্বেগ বেড়েছে মার্কিন মুসলিমদের মধ্যে।

অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন এই সামরিক কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রচারণাকালীন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে ট্রাম্পের প্রস্তাবনার সঙ্গে একমত তিনি।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল থাকাকালীন ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ফ্লিন৷ পরে মার্কিন ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান বানানো হয় তাকে৷ যুদ্ধক্ষেত্রে ফ্লিনের সাফল্যকে সম্মান জানালেও সমালোচনায় পড়ে তার মুসলিমবিরোধী কট্টর অবস্থান৷

পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হয় ফ্লিনকে৷ পরে সরাসরি ওবামা প্রশাসনকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, ‘ইসলামি কট্টরপন্থা সম্পর্কে তার নীতি মনঃপুত না হওয়াতেই তাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে৷’

সোনালীনিউজ/ ঢাকা/ আরএস