কাশ্মিরে ফেসবুকে নিষেধাজ্ঞা সরানোর আহ্বান জাতিসংঘের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৩, ২০১৭, ০৮:২৪ পিএম

ঢাকা: জম্মু কাশ্মিরে ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের (জম্মু কাশ্মির) স্থানীয় জনগণের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর সরকার ওই সিদ্ধান্ত নেয়। কাশ্মিরের সামাজিক গণমাধ্যম ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের দুই বিশেষ দূত।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দেয়া এক বিবৃতিতে ‘চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ এবং ‘মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের অবস্থা’ বিষয়ক জাতিসংঘের দুই বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা হলো সম্মিলিতভাবে সবাইকে শাস্তি প্রদানের শামিল।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জম্মু-কাশ্মিরে ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক গণমাধ্যমের ২২টি সাইট এবং হোয়াটসএ্যাপের মতো মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে। কাশ্মিরীদের ওপর ভারতীয় সেনাবাহিনীরনির্যাতনের খবর ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরপরই ওই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতি-বিরোধী ও সমাজ-বিরোধী চক্র ইন্টারনেট সেবার অপব্যবহার করছে। তাই জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই সেবা এক মাস বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে’।

সামাজিক গণমাধ্যম বন্ধের কয়েক দিন পর ভারত সরকার অধিকৃত কাশ্মিরে ২৪টি পাকিস্তানি ও সৌদি আরবের টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত সরকারের এই উদ্যোগের সমালোচনা করে ‘সর্বদলীয় হুরিয়াত কনফারেন্স’ বলেছে এটা ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গলা টিপে ধরার’ শামিল।

প্রসঙ্গত, জম্মু কাশ্মিরের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এক টুইট বার্তার জের ধরে ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। সেই টুইটার বার্তায় তিনি একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবিতে দেখা যায়, ভারতীয় সেনা জিপের সামনে এক কাশ্মিরি যুবককে বেধেঁ মানব ঢাল করা হয়েছে। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ইমেজ সংকটে পড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা