প্রেসিডেন্ট বাবা-মেয়ের বয়সের ব্যবধান যখন ৭

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৭, ০৩:৫৭ পিএম
বামে বাবা ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ডানে সৎ মেয়ে টিফানি আঁউজিরি।

ঢাকা: বাবা নেপোলিয়ানের দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। যার বয়স মাত্র ৩৯, আর মেয়ের বয়স ৩২। আমি কার কথা বলছি অনেকেই হয়তো বুঝে ফেলেছেন। তিনি নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন বাবা ও মেয়ের মাঝে মাত্র ৭ বছরের ব্যবধান কেন। 

দেশটির ফার্স্ট লেডি ব্রিজিতি ট্রোগনেস প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর চেয়ে ২৪ বছরের বড়। অর্থাৎ মাক্রোঁর বর্তমান বয়স ৩৯ ও ব্রিজিতির বয়স ৬৩। তাদের বয়সের এই ব্যবধানের একটির রোমাঞ্চকর গল্পও রয়েছে। 

ম্যাক্রোঁর বয়স যখন ১৬ তখন তিনি তার স্কুল শিক্ষিকার প্রেমে পড়েন। শিক্ষিকা প্রথমে ওর কিশোর বয়সের ছেলে মানুষি বলে এড়িয়ে গেলেও, ম্যাক্রোঁ ঠিকই তার মন জয় করে নেন। র্দীর্ঘদিন প্রেম চলার পরে তারা ২০০৭ সালে এসে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। আর সেই শিক্ষিকাই হলেন ব্রিজিতি ট্রোগন্স। 

তবে ফ্রান্সের সমাজ তাদের এই বিয়েকে হয়তো মন থেকে মেনে নেয়নি। তাইতো ম্যাক্রোঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এটা নিয়ে ব্যাপক লেখা লিখি হয়েছে। বিরোধীরাও এটাকে পুঁজি করে সমালোচনা করেছেন। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিষয়টি যদি উল্টো হতো, আমার বয়স ব্রিজিতির চেয়ে ২৪ বছর বেশি হতো? তাহলে হয়তো এত সমালোচনা হতো না।’

৭ মে ইমানুয়েলের বিজয়ের দিন 

তবে আবারো মিডিয়াতে সেই কটুক্তি, রোববার (১৪ মে) প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যাক্রোঁর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিজিতার আগের দিকের মেয়ে টিফানি আঁউজিরি ও তার স্বামী। এনিয়েই চললে তোলপাড়। ম্যাক্রোঁ ও তার সৎ মেয়ে বয়সের ব্যবধান মাত্র ৭ বছর। 

মিডিয়াগুলো বলছে, ম্যাক্রোঁর দল এন মার্চ থেকে সংসদ নির্বাচন করার জন্যই তার সৎ মেয়ে মায়ের সঙ্গে মিশছে। তাবে, এ কথায় চরম ক্ষেপেছে ম্যাক্রোঁর মেয়ে তিনি দেশটির টিভি চ্যানেল বিএফএমটিভিকে বলেছেন, ‘দেশের মানুষের কাছ থেকে এমন সব কথা আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’ সূত্র: ডেইলি মেইল ও দ্য গার্ডিয়ান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই