ঢাকা: পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটি রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে গেছে। এদিকে মদ্যপায়ী বাবা বাড়ি এসে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে ধর্ষণ করল, আর দৃশ্যটি চেয়ে চেয়ে দেখলো দাদি। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এখানেই শেষ নয় ছেলেকে বাঁচাতে ধর্ষতা নাতনিকে খুনও করে দাদি! এমনই ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার জাভুলেক-বাণী গ্রামে। অভিযুক্ত মা-ছেলেকে গ্রেপ্তারকরেছে পুলিশ।
মাহরাষ্ট্রের পুলিশ জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৯ মে) রাতে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মেয়েকে ধর্ষণ করে সচিন শিন্ডে। সেই সময় তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। সচিনের মা অনসূয়া ছেলের কুকীর্তি দেখেও বাধা দেয়নি। উল্টে সে ছেলের কুকর্ম চাপা দেওয়ার জন্য ধর্ষিতা নাতনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর সে মৃতদেহটি তাদের বাড়ির কাছেই একটি স্কুলের পাশে ফেলে দেয়।
নিজের এবং ছেলের অপরাধ যাতে প্রকাশিত না হয়, তার জন্য থানায় গিয়ে নাতনিকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করে অনসূয়া। পরে তদন্তে নেমে আসল ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। এরপর সচিন ও অনসূয়াকে জেরা শুরু হয়। তারা অপরাধের কথা স্বীকার করে। সচিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ এবং শিশু ধর্ষণের পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অনসূয়ার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতই ভারতে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি কেরেলা রাজ্যে ধর্ষণ করতে এসে এক সাধু তার যৌনাঙ্গ হারান। তার আগে হরিয়ানায় ২৩ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অঙ্গ প্রতঙ্গ ছিন্নভিন্ন করা হয়। সূত্র: এনডিটিভি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই