আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে এমনটা করছে সৌদি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৭, ১২:২১ পিএম

ঢাকা: সৌদি আবর ও তা মিত্র দেশগুলোর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদ সন্ত্রাস দমননীতি নয়, এটা আধিপত্যবাদ ও নিয়ন্ত্রণনীতি বলে মনে করছে কাতার। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমনটাই দাবি করেছেন, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানির বিশেষ দূত মুতলাখ আল-খাতানি।

তিনি বলেছ্নে, সৌদি আরব, মিসর, আমিরাত, বাহরাইনের মত দেশগুলোর কাতারকে নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই দেশটির স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির যে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে তার সঙ্গে সন্ত্রাসের কিংবা সন্ত্রাসের পিছনে অর্থায়নের কোনো বিষয় নেই। মুতলাখ আল-খাতানি বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর এ ষড়যন্ত্র কোনো কাজে আসবে না। কারণ কাতার কখনো সন্ত্রাসকে সমর্থন বা সন্ত্রাসের পেছনে অর্থায়ন করে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে উপসাগরীয় অঞ্চলে পরাশক্তিগুলোর আঘাত হানার সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা ছাড়া এধরনের সম্পর্কচ্ছেদ আর কিছুই নয়। সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে কাতারের ঘনিষ্ঠতা ভালচোখে দেখছে না উপসাগরীয় দেশগুলো। এর ফলে কাতারের একমাত্র স্থল সীমান্ত সৌদি আরব বন্ধ করে দিয়েছে। জল ও আকাশ পথেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এর আড়ে সৌদি আরবের পক্ষথেকে বেশকিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা যায়, যাদেরকে সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা বলা হয়েছে। তবে মুতলাখ আল-খাতানি তা প্রত্যাখান করে বলেন, এ ধরনের আচরণ খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটি একধরনের জনসংযোগ বা প্রচারিভাযানের খেলা। এটি অত্যন্ত গুরুতর ও বিপজ্জনক।

উপসাগরীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে ১৮ জন ব্যক্তির তালিকা দেওয়া হয়েছে যাদের মধ্যে কাতারের রাজপরিবারের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রীও রয়েছেন। রয়েছেন মিসরের প্রখ্যাত আলেম ও ব্রাদারহুডের ধর্মীয় নেতা ইউসুফ আল-কারযাভি ও কাতারের কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই