আরব দেশগুলোর দাবি কার্যকরযোগ্য নয়: কাতার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৭, ১১:৩৯ এএম

ঢাকা: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন দেশগুলো যে ১৩টি শর্ত দিয়েছে সেগুলোকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘কার্যকরযোগ্য নয়’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার। ২২ জুন কুয়েতের মাধ্যমে কাতারের কাছে ওই দাবির তালিকা পাঠায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী সৌদি-নেতৃত্বাধীন ব্লকের আরব দেশগুলো।

শুক্রবার কাতার সরকারের গণযোগাযোগ বিভাগের পরিচালক শেখ সাইফ বিন আহমাদ আল থানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শুরু থেকে কাতার যা বলে এসেছে, দাবির তালিকাতে তা-ই ফুটে উঠল। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে কিছুই করা যাবে না। এটা কাতারের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করা এবং আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপ করা।’

এর আগে কাতারকে দেয়া দাবির তালিকা ‘যৌক্তিক এবং কার্যকরযোগ্য’ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এছাড়া ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও বলেছেন, কাতারকে দেয়া তালিকা অবশ্যই ‘যৌক্তিক এবং বাস্তবিক’ হতে হবে। আরব দেশগুলোর দেয়া ওই তালিকার প্রতিক্রিয়ায় বর্তমানে কাতার আরেকটি পাল্টা দাবির তালিকা তৈরি করছে।

কাতারকে দেয়া দাবিগুলোর মধ্যে, আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ আরও কিছু দাবি পূরণের কথা বলা হয়েছে। ওইসব দাবির তালিকায় আরও আছে: কাতারে নির্মিত তুরস্কের সেনাঘাঁটি বন্ধ করা এবং যেসব ব্যক্তিকে তাদের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হয়েছে, তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়া। ১০ দিনের মধ্যে এসব শর্ত মেনে নেয়ার জন্যও বলা হয়েছে কাতারকে।

আরব বিশ্বের ইসলামি আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুড, হিজবুল্লাহ, আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গেও সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য বলা হয়েছে দেশটিকে। অবশ্য কাতার আগে থেকেই বলে আসছে, এসব সংগঠনের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। কাতার শর্তগুলো মেনে নিলে প্রথম বছর প্রতি মাসে একবার দেশটির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয় বছরে তিন মাস পরপর এটা করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর বাৎসরিকভাবে কাতারকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

গত ২৩ মে কাতারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কিছু তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যাওয়ার পর এ নিয়ে দেশটির সঙ্গে অন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর বিরোধ শুরু হয়। ৫ জুন ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ দেয়ার অভিযোগ তুলে ছোট্ট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব এবং তার মিত্র মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। পরে এই তালিকায় যুক্ত হয় মালদ্বীপ এবং লিবিয়া ও ইয়েমেনের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই