ভারতের চোরাই গরু অর্থনীতির ক্ষতি করছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৭, ০৭:৪৬ পিএম

ঢাকা: অবৈধভাবে ভারত থেকে আসা গবাদি পশুর(বিশেষত গরু) চোরাচালান বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছে। একে ঘিরেই অনেক সমস্যার তৈরি হচ্ছে। চোরাচালান বন্ধ করতে পারলে সীমান্তের অনেক সমস্যাই থাকবে না বলে জানিয়েছে বিজিবি(বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড)।

ভারতে অনুষ্ঠিত সীমান্তরক্ষী বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহিদ হাসান। চোরাচালান বন্ধে বিএসএফকে অনুরোধ করা হয়েছে বাংলাদেশর পক্ষ থেকে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভারতের সরকারি সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, আসলে এটা (গবাদি পশুর চোরাচালান) আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি করছে। গবাদিপশু যদি ভারত থেকে না আসতে পারে তাহলে আমাদের কৃষকরা স্বাবলম্বী হবেন এবং আমরা নিজেদের দেখাশোনা করতে পারবো। চোরাচালান ঠেকানোর জন্য আমরা বিএসএফকে অনুরোধ জানিয়েছি। এর মাধ্যমে আরো অন্যান্য অনেক বিষয়ের সমাধান হতে পারে।

ভারতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গবাদিপশু নিজে সীমান্ত পার হতে পারে না উল্লেখ করে জাহিদ হাসান বলেন, এ ধরনের চোরাচালান বন্ধে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। কারণ, এসব গবাদিপশু আসে ভারতের অনেক ভেতর থেকে এবং পশ্চিমের এলাকাগুলো থেকে। বিজিবির আঞ্চলিক এই কমান্ডার বিএসএফের মেঘালয় ইউনিটের আইজি পি কে দুবে ও রাজ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক এস বি সিংহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি গবাদিপশু চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশিদের ওপর সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানোর বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। আমাদের উদ্বেগের কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু ঘটনা পরিষ্কারভাবে আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি। আশা করছি সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা শূন্যতে নামিতে আনতে সক্ষম হবো।

বিজিবি-বিএসএফ’র এই সম্মেলনে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা