কৌঁসুলিকে হত্যার দায়ে মিশরে ২৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৭, ০৯:৪৪ এএম

ঢাকা: মিশরে এক কৌঁসুলিকে হত্যার আভিযোগে ২৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কায়রোর একটি আদালত। শনিবারের ওই রায়ে দোষী সাব্যস্ত আরো ১৫ জনের প্রত্যেককে ২৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

২০১৫ সালে রাজধানী কায়রোয় সরকারি কৌঁসুলি হিশাম বরকতের গাড়িবহরে বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য দেশটির রানৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন হামাসকে দায়ী করেছিল দেশটির সরকার। উভয় গোষ্ঠীই এই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে আসছে। 

জুনে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের সুপারিশ করে দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্রান্ড মুফতির কাছে আর্জি পাঠায় আদালত। গ্রান্ড মুফতি ওই সুপারিশ অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখেন। আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ক্ষেত্রে মুফতির পরামর্শ নিয়ে থাকে, তবে তার সিদ্ধান্ত মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। শনিবার আদালতের শুনানিতে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে রায় দেয়া হয়, তবে দণ্ডিতরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামীপক্ষের আইনজীবী আহমদ সাদ বলেছেন, এই রায় অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অন্যান্যদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, শহীদ হিশাম বরকতকে হত্যার ঘটনায় ‍যাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। ওই ঘটনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতাই ছিল না।

গত বছর মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে বেশ কয়েকজন তরুণকে দোষ স্বীকার করতে এবং গাজায় গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথা স্বীকার করতে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু পরে এদের কয়েকজন আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তারা এবং তাদের আইনজীবী নির্যাতনের বিষয়ে মেডিকেল পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্রাদারহুড নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এলেও ২০১৩ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এরপর থেকে ব্রাদারহুড সমর্থকদের ওপর চালানো হচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর নির্যাতন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই