কে এই বিতর্কিত রাম রহিম?

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০১৭, ০৯:৪৩ এএম

ঢাকা: ১৯৬৭ সালের ১৫ আগস্ট রাজস্থানের গঙ্গানগর জেলার শ্রী গুরুসর মোদিয়া গ্রামে রাম রহিমের জন্ম। গ্রামের স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৯০ সালে ডেরা সাচা সৌদা সংগঠনের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন।

রাম রহিমের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় রাম রহিম। রক্তদান শিবির, বৃক্ষরোপণের মতো কাজ করে থাকেন নিয়মিত। অনলাইনে যোগের প্রশিক্ষণও দেন তিনি। মেয়েদের জন্য হোস্টেল, হাসপাতাল এবং যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের মতো কাজ করেন।

রাম রহিমের প্রায় ৫ কোটি ভক্ত। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শহর ও গ্রামাঞ্চলে ডেরা সাচার বহু কেন্দ্র রয়েছে।

হরিয়ানার সিরসায় প্রায় ৮০০ একর জমির উপর ডেরার ক্যাম্পাস রয়েছে। তার সংস্থা এমএসজি ব্র্যান্ডের অর্গ্যানিক মধু, নুডলস বিক্রি করে। ২০০৩ সালে বিশ্বের বৃহত্তম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে গিনেজ রেকর্ড করে ডেরা সাচা।

রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট প্রভাবশালী রাম রহিম। ২০১৪ সালে হরিয়ানার নির্বাচনে তার সংগঠন বিজেপিকে সমর্থন করে।

২০১৫ সালে দিল্লির নির্বাচনে বিজেপিকে খোলাখুলি সমর্থন করে। ওই বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন তার অনুগামীরা।

চামড়া ও রাইনস্টোন রাম রহিমের খুব প্রিয়। তার পোশাক-আশাকে এই দুটো জিনিস প্রায়ই দেখা যায়। রাম রহিমের বিরুদ্ধে তিনটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

২০০২ সালের সিরসার এক সাংবাদিক রাম চন্দ্র ছত্রপতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ওই একই বছরে ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহকে খুনের অভিযোগ ওঠে।

২০০২ সালে এক শিষ্য রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে চিঠি লেখেন।

চিঠিতে ওই শিষ্য অভিযোগ করেন, অন্য শিষ্যদেরও হরিয়ানার সিরসায় ডেরা চত্বরে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিবিআইকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়।

রাম রহিমের দুই শিষ্যর মধ্যে একজন সিবিআইকে গোপন জবানবন্দিতে জানান, তিনি ডেরা প্রধানের চেম্বারে ঢোকার পরই দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এবং তিনি দেখেন রাম রহিম বড় স্ক্রিনে পর্নোগ্রাফি ছবি দেখছেন।

২০০৭ সালে শিখ ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়। ২০০৯ সালে হরিয়ানার সিরসা আদালত এবং ২০১৪ সালে ভাতিন্ডা আদালত সেই মামলা খারিজ করে।

ধর্মীয় গুরু ছাড়াও একজন গায়ক, অভিনেতা হিসাবেও তার পরিচয় রয়েছে। তিনি এমএসজি: দ্য মেসেঞ্জার, এমএসজি২ দ্য মেসেঞ্জার, এমএসজি: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট নামে তিনটি ছবিও করেন।

ভারতে যে ৩৬ জন ভিভিআইপি জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা পান, রাম রহিম তাদের মধ্যে একজন। ব্রিটেনের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।

দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফাউন্ডেশন থেকে ২০১৬ সালে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্দেশক এবং লেখকের সম্মান পেয়েছেন রাম রহিম।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন