ঢাকা: ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং বেশ কিছুদিন কারাগারে আছেন। দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে করা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়।
এদিকে যৌনতায় লিপ্ত হতে না পেরে কারাবন্দী এই ধর্ষক-ধর্মগুরু এখন কারাগারের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমনটাই জানিয়েছেন ওই ধর্মগুরুর চিকিৎসকরা।
কারাগারে গুরমিত রাম রহিম সিংকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমনিতেই তার ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। এছাড়া কারাগারে তিনি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য ছটফট করছেন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশটির রোহতকের জেলে বন্দী রয়েছেন কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেল কর্তৃপক্ষ একদল চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। সেই চিকিৎসক দলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞও ছিলেন।
ওয়ান ইন্ডিয়ার খবরে আরো বলা হয়েছে, ডেরা ছেড়ে কারাগারে ঢোকার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে ধর্ষক রাম রহিম। কারণ তিনি ‘সেক্স অ্যাডিক্ট’। কারাগারের ওই বন্দি দশায় থেকে তিনি যৌন সুখ থেকে বঞ্চিত হয়েই ছটফট করছেন। এমন অবস্থায় রাম রহিমের চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেরি হলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে, তিনি মাদকাসক্ত কিনা।
তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ওই ধর্ম গুরু মদ্যপান করতেন। এখন মদ পান না করলেও এনার্জি ড্রিঙ্ক ও বিদেশ থেকে আনা সেক্স টনিক সেবন করতেন রাম রহিম। এমনটাই দাবি- ডেরার সাবেক সদস্য গুরদাস সিং তুরের।
উল্লেখ্য, কারাবন্দি হওয়ার পরে পালিত কন্যা হানিপ্রীতকে তার সঙ্গে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। তিনি বলেছিলেন, নিয়মিত হানিপ্রীতের কাছ থেকেই ম্যাসাজ নেন তিনি।
তাহলে কি যৌন প্রবৃত্তি চরিতার্থ করতেই দত্তক নেয়া মেয়ে হানিপ্রীতকে সঙ্গে রাখতে চেয়েছিলেন রাম রহিম? যদিও রাম রহিমের স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, হানিপ্রীতের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক ছিল তার স্বামীর। এখন সেই অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে বৈকি!
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম