একমঞ্চে মোদি ও পরাজিত মানিক

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০১৮, ০৯:২৯ পিএম

ঢাকা: ভারতের রাজ্য ত্রিপুরায় নির্বাচনে জয়ের পরই মানিক সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা অথবা বাংলাদেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন আসামের অর্থমন্ত্রী তথা উত্তর-পূর্বে বিজেপির প্রধান নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা। ভোটের পর বাম কর্মী ও দলীয় দফতরে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভাঙা হয়েছে লেনিনের মূর্তি।

এমন পরিবেশেই এক টুকরো সৌজন্যের সাক্ষী থাকল আগরতলায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ মঞ্চ। ভোটের প্রচারে একে অপরকে আক্রমণ করেছিলেন মানিক সরকার ও নরেন্দ্র মোদি। সে সব আজ অতীত। মোদী-মানিকের সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী থাকল ত্রিপুরা।        

৮ মার্চ আগরতলায় সিপিএমের রাজ্য দফতরে গিয়ে মানিক সরকারকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিপ্লব দেব ও রাম মাধব। অতীত বলছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধীরা সাধারণত হাজির থাকেন না ত্রিপুরায়। এবার সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হল। কারণ, বিপ্লব দেবের আমন্ত্রণ ফেরাতে পারেননি মানিক সরকার।

এদিন মঞ্চে বিজেপির দুই বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণী ও মুরলী মনোহর জোশীর মাঝেই বসেছিলেন মানিক। এরপরে মঞ্চে ওঠেন মোদী, মানিককে দেখতে পেয়েই হাত মেলালেন তার সঙ্গে। দু’জনে খানিকক্ষণ কথাও বললেন।

সৌজন্যের আরও এক নজির দেখা গেল এরপরে। মানিক সরকার মঞ্চ ছাড়তেই এগিয়ে এলেন নরেন্দ্র মোদি। তার হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর মানিকের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, মানিক সরকার তার দাদার মতো। সরকার চালাতে পরামর্শ নেবেন।  

ভোটে হারলেও বামদল এখন তিপুরার বিরোধী দল। মানিক হবেন বিরোধী দলের নেতা। ভোটে হারলেও মানিকসহ ৪৫ আসনে জিতেছে বামদল।

সোনালীনিউজ/আতা