বাড়ি নেই ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর, উঠলেন দলীয় কার্যালয়ে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০১৮, ১২:৪৩ পিএম

ঢাকা: ত্রিপুরার সদ্য বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নিজস্ব বাড়ি নেই। ত্রিপুরায় ভোটে হেরে বামফ্রন্ট ক্ষমতা হারানোর পর নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগেই সরকারি বাড়ি ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে উঠেছেন তিনি ।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা চার মেয়াদে ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট নেতা মানিক সরকারের নিজের কোনো বাড়ি নেই।

মানিক সরকারের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য এখন বিধায়কদের হোস্টেলে উঠছেন। তবে তিনজন ইতোমধ্যে গ্রামে ফিরে গেছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য।

নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা বিপ্লব কুমার দেব শপথ নেওয়ার আগের দিন বৃহস্পতিবার স্ত্রী পাঞ্চালি ভট্টাচার্যকে নিয়ে আগরতলায় সিপিআই(এম) অফিসে উঠেন তিনি। সেখানে দুই কক্ষের একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন তারা।

ত্রিপুরা সিপিআই(এম)-এর সেক্রেটারি বিজন ধর বলেছেন, “পার্টি অফিসে বসবাসের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এটা মোটেও ব্যতিক্রমী কিছু নয়। আমাদের অধিকাংশ নেতাই সাদাসিধে জীবন-যাপন করেন।”

দলের দপ্তর সম্পাদক হরিপদ দাশের বরাত দিয়ে পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দলীয় কার্যালয়ে যা রান্না হবে তাই খাবেন মানিক সরকার।

মার্কস-এঙ্গেলস সড়কে মুখ্যমন্ত্রীর বাসা ছাড়ার আগেই সেখান থেকে বই ও জামা-কাপড়ের কয়েকটি প্যাকেট পাঠিয়ে দেন তিনি। কয়েকটি সিডিও সেখান থেকে এনেছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।

পৈত্রিক সম্পত্তি বোনকে দিয়ে দেওয়া মানিক সরকার এর আগেও দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন। তার স্ত্রী পাঞ্চালি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, আগরতলা শহরে কিছুটা জমি রয়েছে তার। তবে ওই জমি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার পর তা নিয়ে গোল বাঁধে। ওই ভবনের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। এই দম্পতির কোনো ছেলে-মেয়ে নেই।

মানিক সরকারের জন্য ‘ভালো সরকারি আবাসনের’ ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বিরোধী দলীয় নেতাও মন্ত্রীর মর্যাদা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

বিপ্লব বলেছেন, “সরকার পরিচালনার জন্য আমরা নির্বাচিত হয়ে থাকতে পারি। তবে আমি মনে করি, আমাদের স্বপ্নের ত্রিপুরা গড়তে মানিক সরকার ও তার দলের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।”


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন