ইরানে সেনা কুচকাওয়াজে হামলায় দায়ী যুক্তরাষ্ট্র!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮, ০৪:৪৩ পিএম

ঢাকা : ইরানের আহভাজ শহরে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় অঞ্চলের শত্রুদের দায়ী করছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের মদদে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পুতুলরা ইরানে ‘অনিরাপদ অবস্থা’ তৈরি করতে চাইছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এই ঘটনার জন্য বর্হিশক্তি জড়িত উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা বর্হিশত্রু দ্বারা অর্থপুষ্ট। এ হামলার জন্য ইরান, এই অঞ্চলের সন্ত্রাসী দেশ ও তাদের গুরু যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেবার জন্য যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক এর রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাশেমি বলেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয় যে এই গ্রুপগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যতদিন না ইউরোপের দেশগুলো তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। ইরান আঞ্চলিক শত্রু বুঝাতে কোন দেশের নাম ব্যবহার না করলেও, সৌদি আরবের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছে।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ইরানের দক্ষিণ-উত্তরের আহভাজ শহরে সেনা কুচকাওয়াজে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীরা অনুষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী পার্কে  অবস্থান করছিলো। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলা এলোপাথাড়ি গুলিতে দেশটির সেনাবাহিনীর ৯ সদস্যসহ ২৫ জনের মৃত্যু ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চার বন্দুকধারীর সবাইকে হত্যা করেছে। মৃতদের অর্ধেকই ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ডের সদস্য।

ইরানের সরকার বিরোধী আহভাজ ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ও ইসলামিক স্টেট(আইএস) উভয়ই এই হামলার দায় স্বীকার করে নিলেও তারা উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ইরানের রেভ্যূলশনারি গার্ডের এক মুখপাত্র দাবি করে বলেন, হামলাকারীরা প্রশিক্ষিত ছিলো। তারা ইসরালে ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু  ‘দুই আরব’ দেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ও সংগঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের সাহায্য করার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করে আসছে। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট আব্দে মানসুর হাদির পক্ষে লড়ছে সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই