যেভাবে বাঁচলেন ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানের একমাত্র যাত্রী!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৮, ০৩:৫৪ পিএম

ঢাকা : রাখে আল্লাহ মারে কে? হায়াত থাকলে তাকে মারার সাধ্য কার। জাকার্তার ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ে প্রাণে বাঁচলেন ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বিধ্বস্ত বিমানের এক যাত্রী। সোমবার(২৯ অক্টোবর) জাভা সাগরে বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের বিমানের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। কিন্তু যানজটের কারণে বিমানটির উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর জাকার্তা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

ফ্লাইট ধরতে না পারায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে বাঁচতে পারেনি বিমানের অপর ১৮৯ আরোহী। ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা তিনি। প্রত্যেক সপ্তাহে লায়ন এয়ারের ফ্লাইট জেটি-৬১০ বিমানে করে মন্ত্রণালয়ের অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে জাকার্তা থেকে ব্যাংকা দ্বীপের প্যাঙ্কাল পিন্যাংয়ে যেতেন তিনি।

ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, আমি এবং বন্ধুরা সবসময়ই জেটি-৬১০ ফ্লাইটে যাতায়াত করতাম। আমি জানি না কেন সড়কে এত তীব্র যানজট ছিল। আমি সচরাচর ভোর ৩ টায় জাকার্তা বিমানবন্দরে পৌঁছাতাম। কিন্তু সোমবার(২৯ অক্টোবর) আমি বিমানবন্দরে পৌঁছেছি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে এবং ফ্লাইট ধরতে পারিনি।

জাকার্তার এই অচলাবস্থা বাঁচিয়ে দিয়েছে সনির জীবন। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কারো বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ভাগ্যক্রমে সনি বেঁচে গেলেও তার অপর ছয় সহকর্মী; যারা বিমানের আরোহী ছিলেন তারা বাঁচতে পারেননি।

জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে ১৮৯ আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিট পর স্থানীয় সময় সোমবার ৬টা ৩৩ মিনিটে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে লায়ন এয়ারের ফ্লাইট জেটি-৬১০ জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, বিমানের ওই ফ্লাইটে মন্ত্রণালয়ের অন্তত ২০ কর্মকর্তা ছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় তদন্ত ও উদ্ধার সংস্থা বলছে, দুর্ঘটনায় বিমানের সব আরোহী এবং ক্রু মারা গেছেন এবং তারা সাগর থেকে বেশ কিছু মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করেছেন।

সোনালীনিউজ/আরজে