দেওবন্দ মাদরাসায় তাবলিগ নিষিদ্ধ

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৯, ১০:৫১ পিএম

ঢাকা: ভারতের ঐতিহ্যবাহী দিনি প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দেওবন্দ কোনো পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখবে না বলে ফের জানিয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

দেওবন্দে জারি হওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দ্বীনের প্রচার, ইসলামের দাওয়াত আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু তাবলিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে সৃষ্ট ফিতনা থেকে দারুল উলুমকে রক্ষার জন্য দারুল উলুমের দায়িত্বশীলরা প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দারুল উলুমের প্রতিটি ছাত্র উভয় দল (সাদ- শুরা) থেকে সম্পর্কহীন থাকবে। এজন্য ছাত্ররা দারুল উলুমের অভ্যন্তরে বহিরাগত বা ভিতরগত কোনও তাবলিগি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না।’

দারুল উলুমের ভেতরে মাদ্রাসা ছাত্র বা বহিরাগত কারোই তাবলিগী কাজ করা যাবেনা ঘোষণা দিয়ে এ নির্দেশ অমান্য করলে ছাত্রদের কঠোর শাস্তির হুশিয়ারিও দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, তাবলিগের চলমান এ সঙ্কটের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের আগস্টে দারুল উলুম দেওবন্দ ঘোষণা করে, বিবেদ না মেটা পর্যন্ত দারুল উলুমের ভেতর তাবলীগের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

মূলত তাবলিগ বিষয়ে দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে। তাবলিগের বিবাদমান কোনো পক্ষকেই তারা সমর্থন দেননি।

পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমদের বক্তব্য

এদিকে তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট নিরসনে তাবলিগের মুরব্বীদের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমরা। পাকিস্তানের খ্যাতিমান ২৬ জন আলেম ভারতের তাবলিগের প্রধান মারকাজ নিজামুদ্দিন, পাকিস্তানের রায়েবেন্ড, বাংলাদেশের কাকরাইলের মুরব্বিদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সম্প্রতি যে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে, এতে আমাদের তাবলিগ নিয়ে শঙ্কা আরো বেড়ে গেছে। কখনো কল্পনাও করতে পারিনি, দিনদারগণ এভাবে দু’দলে বিভক্ত হয়ে রক্তারক্তি কান্ড ঘটাবে।

তাবলিগের উভয় দলের মুরব্বিগণ সব মত আর দাবিগুলোকে এক পাশে রেখে আমরা একটি জায়গায় বসি। এক ও নেক হতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই এর সমাধান সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।

যদি দু পক্ষের একতাবদ্ধ হওয়া সম্ভব না হয় ,তাহলে আলাদাভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের আলেমগণ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম