মা-ছেলেকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী! দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৯, ২০১৯, ০৩:২৯ পিএম

ঢাকা: মাটিতে পড়ে দুজন। একজন মহিলা ও আরেকজন যুবক। কিছু 'উন্মত্ত' লাঠি পরের পর এসে পড়ছে তাদের গায়ে। প্রথমে কিছুক্ষণ লাঠির ঘা থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল তারা। তারপর একসময় সব থেমে গেল। আর কোনও সাড় নেই ওদের গায়ে। কোনও নড়াচড়া নেই। কিন্তু তবু লাঠি থামছে না। নড়নচড়নহীন শরীরগুলোর উপরই ফের এসে পড়ছে লাঠি। নির্মম এই ঘটনা হার মানাবে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে। কিন্তু চোখের সামনে এই নৃশংস দৃশ্য দেখেও চুপ রইল পুলিশ!

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামের তিনসুকিয়ার শিপুর চা বাগানে। পুলিশের চোখের সামনেই মা ও ছেলেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। 

জানা গেছে, ৫ জুন নিখেোঁজ হয়ে যান শিপুর চা বাগানের বাসিন্দা অজয় তাঁতির স্ত্রী রাধা তাঁতি ও তাঁর ২ মাসের শিশু। দিন দুয়েক নিখোঁজ থাকার পর শেষে এলাকার একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শুক্রবার উদ্ধার হয় ২ মাসের সন্তান সহ রাধা তাঁতির পচাগলা দেহ। আর তারপরই ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে মহিলারা।

জনতার আক্রোশের শিকার হয় অজয় তাঁতি ও তাঁর মা যমুনা তাঁতি। অভিযোগ, পুলিসের সামনেই মা-ছেলেকে বেধড়ক পেটায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যমুনা তাঁতির। গুরুতর আহত অবস্থায় ছেলে অজয় তাঁতিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষে শনিবার রাতে মৃত্যু হয় অজয় তাঁতির।

স্ত্রী-ছেলেক মারের হাত থেকে বাঁচাতে এসে আহত হয়েছেন অজয়ের বাবাও। ভয়ঙ্কর এই ভিডিওটি সামনে আসতেই শিউরে উঠছে মানুষ। পুলিশের চোখের সামনে কী করে এই ঘটনা ঘটল? পুলিশ কেন বাধা দিয়ে চুপ ছিল? প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।-জি নিউজ

সোনালীনিউজ/এইচএন