রাজাকার থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার!

  • বরগুনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৭, ১০:৫৯ এএম

বরগুনা: ১৯৭১ সালের ১৮ আগস্ট, রাজাকারদের সহায়তায় পাক সেনারা হামলা চালায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হোগলাপাশা গ্রামে। ঘর বাড়ি লুট, অগ্নি সংযোগসহ ৩ জনকে ধরে আনা হয় তালুকের চরদুয়ানী খেয়াঘাটে। সেখানে গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের। আর এ ঘটনায় পাক সেনাদের সহায়তা করেছেন বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মান্নান হাওলাদার। এমন অভিযোগ নিহতদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীর।

একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের এ অভিযোগ উঠেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কথিত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

শুধু যুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধ নয়, তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা তৈরি, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর, ভাতা ও ঋণ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

তবে মান্নান হাওলাদারের দাবি, শত্রুতার কারণে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হয়ে যান মান্নান হাওলাদার। তবে সব শেষ মুক্তিযোদ্ধা বাছাইতে ধরা পড়ে যান তিনি। বাছাই কমিটির ৪ জনই তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি পরিবারসহ রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা। মুক্তিযোদ্ধা ঋণ, ভাতা ও সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া বাড়ি থেকে নানা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘যে টাকা উঠাতাম সেই টাকা থেকে প্রায় অর্ধেক টাকা আমার কাছ থেকে সে নিতো।’

তবে মান্নান হাওলাদারের দাবি, তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিযুক্ত কমান্ডার মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যদি একটিও সত্য হয় তাহলে যে শাস্তি দিবেন তা আমি মেনে নিবো। আমি যদি খারাপ হতাম তাহলে কখনও আমি নির্বাচিত হতাম না। সব কিছু অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মহাঃ বশিরুল আলম জানালেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

মান্নান হাওলাদারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন