মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মান জানাবে বাং

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০১৬, ০৮:৫৭ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের মরণোত্তর সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে জওয়ানরা প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই বাংলাদেশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য ভারতের আটটি স্থানে অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের পরিবারকে আথির্ক সহায়তাও করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলা থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ছোত্তাখোলায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে  ভারতীয় সেনাবাহিনীর  অবদান ভোলার নয়।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সেনা হয়েও যারা নিজেদের জীবন  দিয়েছিলেন আজও  আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। শ্রদ্ধা জানাই সেই সমস্ত বীর সেনাদের।  আমাদের বাংলাদেশ সরকার  ভারতের সেই সব বীর যোদ্ধাদের মরণোত্তর সম্মান জানাতে  চায়। যে কারণে ভারতের আটটি স্থানে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিমূর্তি ও স্মৃতি স্মারক, বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  অভিনন্দনপত্র প্রদান করার পাশাপাশি  আর্থিক সহায়তা করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে আট সদস্যের এক প্রতিনিধিদল এদিন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছোত্তাখোলায় তৈরি করা মৈত্রী উদ্যান পরিদর্শন করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার বিধায়ক সুধন দাস, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক মুনায়ম সরকারসহ বিশিষ্টজনেরা। পার্কটি পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে এই পার্ক ও মিউজিয়াম তৈরি করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম এই ছোত্তাখোলা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য এই গ্রামেই মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনী একটি শিবির করেছিল।  

মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। অতীতের সেই স্মৃতিকে বাংলাদেশ সরকার কোনোদিন ভুলবে না বলেও এদিন জানান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন