১৯৫২’র ভাষা আন্দলনে স্থানীয়দের ভূমিকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯, ০১:০০ পিএম

ঢাকা : ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছিল একটি বিশেষ দিন। আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণের জন্য সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় এদিন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে ৫০ নং মোঘলটুলীতে এই সভা হয়। এই সভাতেই ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারিকে পতাকা দিবস হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মোঘলটুলীর এই সভা প্রসঙ্গে তৎকালীন ‘ঢাকাইয়াদের’ কথা চলে আসে। ১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চের যে আন্দোলনটা পাকিস্তানি শাসকেরা দমিয়ে দিতে পেরেছিল, তার পেছনে ‘ঢাকাইয়াদের’ ভূমিকা ছিল। ঢাকাইয়া বলতে পুরান ঢাকার যেসব স্থায়ী মানুষ ছিলেন। পুরান ঢাকায় তখন নবাবদের প্রভাব। এ ছাড়া সামন্ত প্রথা, আধুনিক শিক্ষার অভাব ও রক্ষণশীলতা ঢাকাইয়াদের ভাষা আন্দোলন স্পর্শ করতে পারেনি তখন। তাদের কাছে উর্দুই ছিল শ্রেয়তর ভাষা। পুরান ঢাকার ঘরে ঘরে উর্দুর চর্চাও হতো। সরকার পুরান ঢাকার মহল্লা সর্দারদের প্রত্যক্ষ মদতে আটচল্লিশের ভাষা আন্দোলন দমাতে পেরেছিল।

১৯৫২-তে এসে গনেশ উল্টে গেল। ততদিনে পূর্ব পাকিস্তানের স্বার্থরক্ষায় বাংলা ভাষার গুরুত্ব কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছে পুরান ঢাকার মানুষ। ঢাকাইয়াদের তরুণ প্রজন্মটি হয়ে উঠেছে রাজনীতি সচেতন। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে তারা সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়েছিল তাই। সে কারণে ১৯৫২-এর আন্দোলনের কার্যক্রম ছাত্ররা ভয়ডরহীনভাবে এগিয়ে নিতে পেরেছিল।

পুরান ঢাকার কিংবদন্তিতুল্য বাইশ মহল্লার প্রধান কাদের সর্দার সবার আগে এগিয়ে আসেন ভাষা আন্দোলনের পক্ষে। পরবর্তী সময়ে নারিন্দার মাওলা সর্দার, হোসেনী দালানের পিয়ারু সর্দার, রায়সাহেববাজারের ইলিয়াস সর্দার ও মতি সর্দার বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে নানাভাবে সহায়তা করেছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই