কচুরিপানা-শোল মাছের সুস্বাদু রেসিপি (ভিডিও)

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৪:২৮ পিএম

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না-তার এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  পরিকল্পনামন্ত্রীর এমন মন্তব্যে অনেকেই কটূক্তিও করেন।  সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণায় অবদান রাখায় দু’জনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী তার পুরো বক্তব্যে  বলেন, কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ 

তিনি মূলত কচুরিপানা নিয়ে গবেষণার কথা বলেছেন। কচুরিপানা আসলে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে যা জানা যায়।  কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। পুরু, চকচকে এবং ডিম্বাকৃতির পাতাবিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিপৃষ্ঠের ওপর ১ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর কাণ্ড থেকে দীর্ঘ, তন্তুময়, বহুধাবিভক্ত মূল বের হয়, যার রঙ বেগুনি-কালো।

একটি পুষ্পবৃন্ত থেকে ৮-১৫টি আকর্ষণীয় ৬ পাঁপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়। কচুরিপানা খুবই দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। সবচেয়ে পরিচিত কচুরিপানা Eichhornia crassipes রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দুই সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়। 

আর কচুরিপানা দিয়ে কাগজের মণ্ড তৈরির পাশাপাশি বায়ো ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক দেশ। শুধু তাই নয়, কচুরিপানা আসলেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় কম্বোডিয়ায়। দেশটির মানুষ কচুরিপানা লতি আর ফুল ব্যবহার করে অসাধারণ একটি মাছের স্যুপ তৈরি করে, যা তাদের নিত্যকার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। 

আপনারা যারা এই লেখাটি পড়ছেন তাদের সুবিধার্থে এ রেসিপিটি দেয়া হলো।

ব্যবহৃত উপকরণ- ১। কচুরিপানার ফুল ও লতি
২। শাক পাতা
৩। শোল মাছ
৪। রসুন
৫। আদা  
৬। লাল মরিচ
৭। বিশুদ্ধ পানি
৮। লবণ 

যেভাবে বানাবেন-প্রথমে শোল মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে হবে। এরপর কচুরিপানা থেকে ফুলসহ লতি আলাদা করে নিতে হবে। এরপর শাক পাতা কুচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর চুলায় পানি গরম করে তাতে রসুন কোয়া ও আদা ছিলে পিষে দিয়ে দিতে হবে। পরে ধুয়ে পিচ করে রাখা মাছের টুকরা দিয়ে দিতে হবে। মাছ সিদ্ধ হয়ে আসলে এতে একে একে কেটে রাখা শাক পাতা, কচুরিপানার ফুল ও লতি দিয়ে দিতে হবে। 

এরপর লাল মরিচ ফালি করে কেটে দিয়ে দিতে হবে। সবশেষে লবণ দিয়ে ফুটাতে হবে। ১০ মিনিট বাদে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে। আশা করি ভিন দেশের খাদ্য হলেও খেতে খুব একটা খারাপ হবে না।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ